বঙ্গ বিজেপিতে নজরদারি বাড়াল গেরুয়া দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। পশ্চিমবঙ্গে দলের নতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) করা হল সতীশ ধন্দকে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক কথায় ডানা ছাঁটা হল রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর। এবার থেকে তাঁরই ডেপুটি হয়ে রাজ্যে কাজ করবেন গোয়া বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সতীশ ধন্দ। শুধু তাই নয়, এবার থেকে শুভেন্দু অধিরকারী, সুকান্ত মজুমদারদের কাজকর্মেও কড়া নজর থাকবে শাহ-নাড্ডাদের পাঠানো এই সতীশ ধন্দের।
সাম্প্রতিক সময়ে কোন্দল-ভাঙনে জেরবার দশা হয়েছে বঙ্গ বিজেপির। দলের মধ্যেই নানা সুর ভেসে এসেছে। এরাজ্যে দলকে এক সূত্রে বাঁধতে কার্যত নাজেহাল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। এর আগেও দিলীপ ঘোষ পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি থাকার সময়ে কোন্দল তৈরি হয়েছিল। দিলীপ ঘোষ, লকেট চট্টোপাধ্যায়দের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্তু মজুমদারের ঠান্ডা লড়াই চর্চায় ছিল।
পরে দিলীপ ঘোষের জায়গায় সুকান্ত মজুমদার দলের ভার নিলেও সমস্যা মেটেনি। দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বরাবর তাঁর তুলনা টানা হয়েছে। শেষমেশ এরাজ্য থেকেই দিলীপ ঘোষকে অন্যত্র দলের কাজে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন শাহ-নাড্ডারা। তবে সমস্যা কিন্তু এখনও রয়ে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- ‘দলের নামে টাকা তুললে থানায় জানান’, ‘বেয়াদপ’ নেতাদের সবক শেখাতে কড়া মমতা
বঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। অভিযোগ, বর্তমানে অমিতাভ-শুভেন্দুর দাপটে দলে কার্যত একটি অংশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর সহকারি পদটি দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে ছিল। এবার এই পদে আচমকা দায়িত্ব দেওয়া হল ভিনরাজ্যের এক নেতাকে।
বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে মুরলিধর সেন লেনের দলীয় কার্যালয়ে চর্চা তুঙ্গে। এখন থেকে এরাজ্যে বিজেপির নতুন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)-এর ভূমিকা পালন করবেন গোয়ার নেতা সতীশ ধন্দ। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার থেকে কোনও সিদ্ধান্তই আর তাঁর সঙ্গে আলোচনা না করে অমিতাভ চক্রবর্তী একা নিতে পারবেন না। বঙ্গে দলের কোন্দল থামাতে শাহ-নাড্ডাদের এটা একটা নতুন চেষ্টা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে শুধুই এরাজ্যে নয়। ছত্তীশগড়, পঞ্জাব, কর্নাটকেও সাংগঠনিক পদে বদল এনেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।