এমাসের প্রথমেই করুণাময়ী থেকে আসানসোলগামী দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার বাস পূর্ব-বর্ধমানের মেমারির কানাইডাঙ্গার কাছে ২ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ক্যানেলের ব্রীজের উপর ঝুলতে থাকে। ওই দুর্ঘটনায় সাতজন যাত্রী জখম হয়েছে। কখনও গাড়ির মেকানিক্য়াল ত্রুটি কখনও বা চালকের দোষে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা(এসবিএসটিসি) বাসের চালকদের প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা শিবির শুরু করেছে। একে একে সব কটি ডিপোতেই এই শিবির চলবে। সিনিয়র চালকদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হচ্ছে এক্ষেত্রে।
এসবিএসটিসির চেয়ারম্য়ান সুভাষ মন্ডল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'বিকেলের পর সমস্ত বাস ডিপোতে ফেরার পর অভিজ্ঞ চালকরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। গতকাল বেলঘড়িয়া ডিপো থেকে প্রশিক্ষণ শিবির শুরু হয়েছে। চালকদের সচেতনও করা হচ্ছে। সংস্থার মোট ২০টা ডিপোতে এই ধরনের শিবির হবে। আজ বর্ধমানে হবে। কাল আসানসোল ডিপোতে হবে।'
এই প্রশিক্ষণ শিবিরে কি শেখানো হচ্ছে? সুভাষ মন্ডল বলেন, 'কতরকম ভাবে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকতে পারে। গাড়ির মেকানিক্য়াল সমস্য়া হতে পারে। শিবিরে মেকানিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারও থাকছেন। তারপরে চালকের দোষেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সব পার্ট পর্ট করে আলোচনা চলছে। তাছাড়া গাড়ি কীভাবে চালালে তেল সার্ভিস ভাল পাওয়া যাবে। এককথায় চালকদের প্রশিক্ষণের সঙ্গে নানা ভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
এসবিএসটিসি বাস দক্ষিণ বঙ্গের বৃহৎ অংশের যোগাযোগ রক্ষা করে চলে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। ধর্মতলা ও করুণাময়ী থেকে বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পূর্বমেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ নিয়মিত বাস ছাড়ছে। এছাড়া বারাসাত, দুর্গাপুরসহ নানা ডিপো থেকে সরকারি বাস চলাচল করে। এখন এসবিএসটিসির বাস রয়েছে ৯৩২টি বাস। ভলভো বাস ৫টা। সুভাষ মন্ডলের দাবি, 'চালকদের প্রশিক্ষণ শিবিরের জন্য় বাস চলাচলে কোনও সমস্য়া হচ্ছে না।' চেয়ারম্য়ান বলেন, 'এর ফলে আমাদের গাড়ি বন্ধ হচ্ছে না। গাড়ি সব ডিপোতে ঢুকে যাওয়ার পরে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে। হয় তো দু'চারজন চালক কম থাকতে পারে। পাঁচটা-ছটার পরে বেশিরভাগ গাড়ি যখন ফিরছে তখন শিবির হচ্ছে। চারজন অভিজ্ঞ চালক সব ডিপোতে প্রায় এক হাজারের ওপর চালককে প্রশিক্ষণ দেবেন।'