/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/02/hiv-teacher-soumitra-bayen.jpg)
নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে হাসি মুখে সকলে। ছবি- শশী ঘোষ
এইচআইভি পজিটিভ দম্পতি বিয়ের চার দিন পরেই কর্মস্থলে সমস্যায় পড়েন। অভিযোগ, এইচআইভি পিজিটিভ জানতে পেরে বারাসত ভিশন চ্যারটেবল ট্রাস্টের মানসিকভাবে বিশেষ ক্ষমতা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলের শিক্ষক সৌমিত্র গায়েনকে দীর্ঘ ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় স্কুল কতৃপক্ষ। এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায়। সমাজকর্মী কল্লোল ঘোষ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন। শেষমেশ সোমবার রাজ্য় সরকারের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেলের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকের পর মঙ্গলবার স্কুলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় সৌমিত্র সেখানে কাজ করবে। আগামিকালই তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা।
১২ ফেব্রুয়ারি সৌমিত্র ও সুনীতার চার হাত এক হয়। সৌমিত্র কাজ করেন বারাসতের বেসরকারি স্কুলে। সুনীতা কাজ করেন কাফে পজিটিভ-এ। এইচআইভি পজিটিভ জানাজানি হওয়ায় সুনীতার কোনও সমস্যা না হলেও কর্মক্ষেত্রে মুশকিলে পড়েন সৌমিত্র। স্কুল কর্তৃপক্ষ ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ায় মাথায় বাজ পড়ে এইচআইভি পজিটিভ সদ্য বিবাহিত সম্পতির। এদিন স্কুল কতৃপক্ষ কাজে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বললেও সেদিকে নজর রাখছেন সমাজকর্মীরা। ফের এমন কোনও ঘটনা ঘটলে ছেড়ে কথা বলা হবে না বলেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন।
নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংয়ে সোমবার রাজ্যের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল বিপ্লব রায়, ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. রণজিৎ মণ্ডল, সমাজকর্মী কল্লোল ঘোষ ও দুই সম্পত্তির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক চলে। মঙ্গলবার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জনারেল বিপ্লব রায় বলেন, 'স্কুল কর্তৃপক্ষ সৌমিত্রকে শিক্ষক হিসাবে কাজে ফিরিয়ে নিচ্ছে। তবে এর থেকে ভাল কাজ পেয়ে গেলে তাঁকে তো আটকানো যাবে না। ওদের মনোবলে যাতে ভাঁটা না পড়ে ভেবেই কাজ করা উচিত।' স্কুলের বাচ্চাদের কথা ভেবে সৌমিত্রকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে আগেই জানিয়ে ছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকী সৌমিত্র এইচআইভি পজিটিভ বলে অভিভাবকরা আতঙ্কিত বলেও জানানো হয়ছিল। এদিন ডা. রণজিৎ মণ্ডল বলেন, 'আমরা একইসঙ্গে পথ চলতে পারব। কমবশি সচেতন আমরা সবাই। আগে জানলে আমরা আগেই সচতন করতে পারতাম। ওর সঙ্গে সহযোগিতা করিনি বা করব না এমন নয়।'
সৌমিত্রকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করেন সমাজকর্মী কল্লোল ঘোষ। তিনি বলেন, 'এই সমস্যা নিয়ে গতকাল দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। আপাতত ভুল বোঝাবুঝি মিটে গিয়েছে। কোনও এইচআইভি পজিটিভকে কর্মস্থল থেকে এভাবে বের করে দিতে পারে না। যেটা হয়েছে অন্যায় হয়েছে। দেরিতে হলেও চেয়ারম্য়ানের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। আমরা আশা করছি নিশ্চিন্তে ও ধারাবাহিকভাবে সৌমিত্র সেখানে কাজ করবে।'