রাজ্যের পড়ুয়াদের ধর্মনিরপেক্ষতা ও ঐক্যের পাঠ দিতে স্কুল, কলেজে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের আর্জি জানাল এসএফআই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই আর্জির কথা জানিয়েছেন সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। এর আগে স্কুল, কলেজে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেরল সরকার। দক্ষিণী রাজ্যে বাম সরকারের পথে হাঁটার জন্য এবার মমতা সরকারকেও আর্জি জানাল এসএফআই।
গত শুক্রবার এসএফআইয়ের রাজ্য শাখার তরফে তৃণমূল সরকারের কাছে এই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। সেখানেই উল্লেখ, 'সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বহুত্ববাদই হল ভারতের পরম্পরা, ইতিহাস। সরকারি শিক্ষাব্যবস্থা, পাঠক্রমকে হাতিয়ার করে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়ানো হচ্ছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ। এমন সময়ে কেরল সরকার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমারও আবেদন করছি, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি পাঠক্রমে সংবিধানের প্রস্তাবনা ও প্রচার নিশ্চিত করা হোক।'
আরও পড়ুন: কী কথা হল মোদীর সঙ্গে? খুলে বললেন মমতা
এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, 'এপ্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। বর্তমানে একদিকে দেশের মানুষ, অন্যদিকে মোদী সরকার। তাঁকেই প্রমাণ করতে হবে তিনি সিএএ-এর বিরুদ্ধে। একদিকে দেখা যাচ্ছে মুখে তিনি সিএএ-এর বিরোধিতা করছেন, অন্যদিকে সংসদে ক্যাবের উপর ভোটাভুটিতে তাঁর দলের বেশ কয়েকজন সংসদ অনুপস্থিত ছিলেন। বিধানসভাতেও সিএএ বিরোধী প্রস্তাবনা পাসের করানোর অনুমতি দেয়নি।'
আরও পড়ুন: মমতার আচরণে ‘বিস্মিত’, বিজয়নের পর তৃণমূলকে একজোট হওয়ার বার্তা ইয়েচুরির
সিএএ বিরোধীতায় সোচ্চার তৃণমূল। পথে নেমে আন্দোলন করছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো। বাম ছাত্র-যুবরাও প্রতিবাদ করছে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের। বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি ছিল, কেরলের পথ অনুসরণ করে রাজ্য বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনুক শাসক শিবির। কিন্তু, সেই আর্জিতে রাজি হয়নি সরকার পক্ষ।
শনিবারই আবার কলকাতায় রাজভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন মমতা। রাজ্যের বকেয়া পাওয়া দাবির পাশাপাশি তৃণমূল যে সিএএ-এনআরসি-এনপিআরে বিরোধী সেকথাও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিরোধীতায় ধর্মতলার টিএমসিপির ধর্নামঞ্চে গিয়েও যোগ দেন দলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অবস্থানকে 'দ্বিচারিতা' বলে কটাক্ষ করে এসএফআই তথা সিপিএম। বাম ছাত্র-যুবরাও শনিবার মোদীর বাংলা সফরের বিরোধিতা করে ধর্না প্রদর্শন করে।
Read the full story in English