ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় এসএফআই কর্মী-সমর্থকদের। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে ফেলে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েন এসএফআই কর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম দশা হয় পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের। 'বহিরাগতদের এনে ঝামেলা পাকাচ্ছে এসএফআই'। বাম ছাত্র সংগঠনের এই কর্মসূচির কড়া নিন্দায় টিএমসিপি। 'আগে নিজেদের ওরা দেখুক আয়নায়।' পাল্টা সুর চড়ালেন এসএফআই নেতৃত্ব।
৬ বছর ধরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের নির্বাচন করা যায়নি। অবিলম্বে ছাত্র ভোট করানোর দাবিতে সোমবার কলকাতার রাজাবাজার থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিলের ডাক দিয়েছিল এসএফআই। এদিন পতাকা-ফেস্টুন হাতে রাজাবাজার থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে বামেদের এই ছাত্র সংগঠন।
এসফআইয়ের এই বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি এড়াতে আগেভাগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে মোতায়েন ছিল পুলিশবাহিনী। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরাও মোতায়েন ছিলেন। তবে বিপুল সংখ্যক এসএফআই কর্মীদের এই মিছিল আটকানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন- ফের নদিয়ায় লাল-সুনামি, সমবায় ভোটে তৃণমূলকে হেলায় হারিয়ে বিপুল জয় বামেদের
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায় এসএফআই কর্মীদের। এক সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়েন এসএফআই কর্মীরা। বাম ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বের অভিযোগ, দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ছাত্র ভোট করানো হচ্ছে না। অবিলম্বে ছাত্র ভোটের দাবিতেই তাঁদের এই প্রতিবাদ মিছিল।
আরও পড়ুন- ‘বিধবাকে রক্ষিতা বানিয়ে ফুর্তি-কেয়াবাত’, সৌমিত্রর চরিত্র নিয়ে টানাটানি সুজাতার
এদিকে, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, এদিন বহিরাগতদের এনেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা পাকিয়েছে এসএফআই। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে উল্টে টিএমসিপি-র বিরুদ্ধেই একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এদিন এসএফআই-এর এই বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে তৃণমূলের যুব নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য একটি সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'দাবি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কলেজের গেট ভেঙে ঢুকে পড়াটাই সিপিএমের কালচার। এটাই এসএফআইয়েরও কালচার। তৃণমূল এই ধরনের কার্যকলাপের নিন্দা করে। সরকার ও দল দ্রুত ছাত্র সংসদের নির্বাচন চায়। এই ধরনের রাজনীতি সমর্থন করি না।'