শুধু সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরাই নন, টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে বহু তৃণমূলকর্মীও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে দাবি শান্তনুর। অর্থাৎ, শান্তনু যে টাকার বিনিময়ে চাকরির বন্দোবস্ত করেন একথা শাসকদলের অনেক নেতারই জানা ছিল বলে ইডির দাবি। সেই কারণেই তাঁকে দফায়-দফায় জেরা চলছে। ইডি সূত্রের দাবি, মাত্র আট বছরের মধ্যেই হুগলি জেলার বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছিলেন এই তৃণমূল নেতা। নামে-বেনামে বহু সম্পত্তির মালিক তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর কুড়িটি সম্পত্তির হদিশ মিললেও ইডির দাবি, এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি হতে পারে।
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এপ্রসঙ্গে শাসকদলকে বিঁধে সংবাদমাধ্যমে বলেন, 'উপর থেকে নীচ পর্যন্ত জালিয়াতি চক্র তৈরি করেছিল তৃণমূল। সরকারি ক্ষেত্রে যত কাজ আছে সব কাজ থেকে পয়সা তোলো, দলকে কিছু দাও বাকি নিজেরা খাও। বিশাল জালিয়াতি চক্র তৈরি হয়েছিল। উপর থেকে নামতে নামতে নীচে যাচ্ছে। শান্তনুর বক্তব্য থেকে পরিস্কার যে তৃণমূল দলগতভাবে সংঘটিত জালিয়াতি চক্র তৈরি করেছিল।'