Diplomatic Victory: বিশ্বমঞ্চে ফের বিরাট কূটনৈতিক জয় ভারতের, শশী থারুরের কড়া বার্তার পর বিবৃতি প্রত্যাহার, পাক-প্রীতি প্রশ্নে পিছু হটল কলম্বিয়া
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পাল্টা জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালায়। ৭ মে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি, হেডকোয়ার্টার ও লঞ্চ প্যাড লক্ষ্য করে হামলা চালায়, যেখানে ১০০-র বেশি জঙ্গি খতম হয় বলে সরকারি সূত্র জানায়। সন্ত্রাসবাদী আস্তানায় হামলার পর কলম্বিয়া এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রতি সমবেদনা জানায়। কিন্তু এরপরই সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে থাকা শশী থারুর এ নিয়ে প্রকাশ্যে 'হতাশা' প্রকাশ করেন। এরপরই নিজেদের অবস্থান বদলে নেয় কলম্বিয়া।
সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে থারুর বলেন, “কলম্বিয়ার উপ-বিদেশমন্ত্রী রোজা ইয়োলান্ডা আমাদের জানিয়েছেন যে ভারতীয় উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে কলম্বিয়া বিবৃতি প্রত্যাহার করেছে।” তিনি আরও বলেন, “যারা সন্ত্রাস ছড়ায় এবং যারা তার বিরুদ্ধে কাজ করে – তাদের মধ্যে কোনও সমতা থাকতে পারে না। আমরা কেবল আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করছি।” কলম্বিয়া এখন এই পুরো বিষয়ে আমাদের অবস্থান পুরোপুরি বুঝতে পেরেছে। এটা সত্যিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে বিএসএফ গুজরাটের আইজি অভিষেক পাঠক জানান, অপারেশন সিন্দুর চলাকালীন পাকিস্তান থেকে গুজরাট সীমান্ত লক্ষ্য করে ৫০০-র বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। তবে ভারতীয় সেনা সবকটি আক্রমণকেই প্রতিহিত করে। ফলে কোনও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। পাকিস্তানের উদ্দেশ্য ছিল নাগরিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের লক্ষ্য করা, কিন্তু ভারত সফলভাবে তা প্রতিহত করে ভারতীয় সেনা।
অপারেশন সিন্দুর শুধু সন্ত্রাসবাদে জড়িত পাকিস্তানকে সামরিক জবাব নয়, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের কূটনৈতিক অবস্থানও আরও শক্তিশালী করেছে। কলম্বিয়া অবস্থান বদল করে ভারতের পাশে দাঁড়ানো এই অভিযানের কূটনৈতিক জয়ের বড় প্রমাণ।