Sheikh Hasina resigned as prime minister: ভারতে কেউ এসেছেন চিকিৎসা করাতে, কেউ এসেছেন বেড়াতে। শেখ হাসিনার শাসনের পতনের পর কলকাতা থেকে বাংলাদেশে মিষ্টি নিয়ে যেতে চান তাঁরা। দেশে ফিরে বিজয় উৎসবে সামিল হতে চান। কলকাতায় সদর স্ট্রিটে রীতিমতো হাসিনার পতন নিয়ে স্লোগান দিলেন এদেশে বেড়াতে আসা বাংলাদেশিরা। পুলিশ তাঁদের সরিয়েও দেয়।
চট্টগ্রাম থেকে আসা মুন্নি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আজকেই খতম আজকেই শেষ। আমাদের ছেলেরা থেমে থাকেনি। রক্তের বিনিময়ে ২০২৪-এর স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা আশা করছি, যে সরকারই আসবে আমরা যেন শান্তিতে থাকতে পারি। নয়া সরকার যেন আমাদের বাচ্ছাদের দায়িত্ব নিতে পারে, তাদের স্বাধীনতা থাকে। আমার মেয়ে চট্টগ্রাম ইউভার্সিটিতে পড়াশুনা করে। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন ছাত্র ক্ষেপে গেলে দমিয়ে রাখা যায় না। তা বুঝতে পারেননি তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর কথাও সত্য হল। আমার ইচ্ছে করছে এখনই দেশে ফিরে যাই।"
এদেশে চিকিৎসা করতে এসেছেন হোসেন মহম্মদ তাজেল। তিনি বাংলাদেশে একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরি করেন। বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনকে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে দেখছেন তাজেল। তিনি বলেন, "বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে। এবার মানুষ যেন কথা বলতে পারে। মানুষ তাঁদের অধিকার ফিরে পায়।" এদিন আন্দোলনকারীরা বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙেছে। এই প্রসঙ্গে তাজেল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "কেউ কেউ আবেগের বশবর্তী হয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙেছে। আদৌ এটা গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের স্বাধীনতায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। তাঁর কন্যার কাজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুকে মিলিয়ে কোনও লাভ নেই।" দেশে ফিরে তিনিও বিজয় উৎসবে সামিল হতে চান।
আরও পড়ুন - < Sheikh Mujibur Rahman-Sheikh Hasina: মুজিবের ‘শাহাদাত’-এর মাসেই ক্ষমতাচ্যুত কন্যা হাসিনা, ইতিহাস ফিরল বাংলাদেশে >
মহম্মদ ফকরুদ্দিন শেখ, মহম্মদ ফকির হোসেনরা এসেছেন এখানে চিকিৎসা করাতে। মুজিবরের মূর্তি ভাঙা নিয়ে ফখরুদ্দিন বলেন, "এটা মানুষের ক্ষোভের বহি:প্রকাশ। মানুষের নির্যাতনের বহি:প্রকাশ। মুজিবর রহমান জাতির জনক। তাঁকে এত বেশি হাইলাইট করেছে মানুষের ঘেন্না ধরে গিয়েছে।" সরকারের পতনে তিনিও বেজায় খুশি। "মানুষকে দাবিয়ে রেখেছিল শেখ হাসিনার সরকার", বলেন তিনি।
মহম্মদ ফকির হোসেন বলেন, "এখন দেশে যাব। স্বাধীনতা দেখতে পেলাম। আনন্দ হচ্ছে। ২০২৪-এ দেশ স্বাধীন হল। মিষ্টি নিয়ে দেশে যাব।" তাঁর কথায়, "স্বৈরাচার সরকার ঘরে ঘের চাকরি দেব বলেছিল। ১৫ বছর ধরে শুধু মামলা দিয়েছে। কলকাতা থেকে দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"