আবাস যোজনার তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল সারা বাংলা। এক এক পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম তালিকায় থাকার অভিযোগ উঠেছিল। কারও কারও প্রাসাদোপম বাড়িও ছিল। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল বর্ধমানের খন্ডঘোষ ব্লকের শাঁখারী এক পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা শেখ জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে। তাঁর রাজপ্রাসাদের ছবি দেখে চমকে গিয়েছিল পুরো বাংলা। তিনি এবারও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন। যা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা।
একই পরিবারের চারজনের নাম ছিল আবাস যোজনার তালিকায়। জাহাঙ্গীরের পরিবারের চারজনের নাম আবাস যোজনার তালিকায় থাকায় তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কেশপুর গ্রামের বাসিন্দারাও এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। হইচই হওয়ায় পরবর্তীতে সেই নাম বাদ দেওয়া হয়। খন্ডঘোষের কেশবপুরে ১৮টি ঘর বিশিষ্ট অট্টালিকা নির্মান করছেন তৃণমূল নেতা তথা শাঁখারী এক পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ জাহাঙ্গীর। সেই শেখ জাহাঙ্গীর এবারও গ্রামপঞ্চায়েতে প্রার্থী। খন্ডঘোষ ব্লকের শাঁখারী ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ফের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন জাহাঙ্গীর। ফোনে যোগাযোগ করলে সংবাদ মাধ্যমের কথা শুনেই আর কথা বাড়াননি জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন- পরিচারিকা হয়েও পঞ্চায়েত প্রধান, প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন মমতা, সেই ঝর্ণাও কেন তৃণমূল ছাড়লেন?
জেলা বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সেন বলেন, 'জাহাঙ্গীর সামান্য একটা মিষ্টির দোকানের মালিক। সে এখন কোটি কোটি টাকার অধীশ্বর। আত্মীয় স্বজনের নামে আবাস যোজনায় কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছেন। গ্রামে রাজপ্রাসাদ বানিয়েছেন, সবাই তা দেখেছে। অন্যত্র অট্টালিকা বানিয়েছেন। এমন দুর্নীতিগ্রস্তকে তৃণমূল প্রার্থী করায় নিন্দার কোনও ভাষা নেই। প্রশাসনের উচিত জাহাঙ্গীরের মতো দুর্নীতিপরায়ণদের প্রার্থী পদ বাতিল করা। সন্ত্রাসের পরিবেশে বিজেপি এই আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি।'
এদিকে জাহাঙ্গীরের প্রার্থী হওয়াতে কোনও অন্যায় দেখছেন না তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। তিনি বলেন, 'তাঁর বিরুদ্ধে তো কোনও দুর্নীতির অভিযোগ নেই। ব্যবসা তো যে কেউ করতেই পারে। তাছাড়া পঞ্চায়েতের কাজের ব্যাপারেও তেমন জড়িত থাকে না জাহাঙ্গীর।'