Police Arrested Sheikh Shahjahan: শেষপর্যন্ত গ্রেফতার সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়েছে তাঁর। রীতিমত গ্রিন-করিডর করে নিয়ে আসা হয়েছে ভাবনী ভবনে। এসব দেখেই তৎপর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শাহজাহানের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হওয়ায় রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি যে তদন্ত করছে তার অনেক তথ্য এবং নথি নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা। যা কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডির আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। সেখানে তাঁদের মারধর করা হয়। ইডির তিন গোয়েন্দার মাথা ফাটে। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এর পর ইডিই প্রথম শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। কলকাতা হাইকোর্টেও এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হয়। এর পর গত মাস খানেক সময়ে শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে যে সব অত্যাচার, অনাচারের অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার ভিত্তিতেও এফআইআর নথিভুক্ত হয়েছে। পুলিশ সেই সূত্রেই গ্রেফতার করেছে শাহজাহানকে।
আরও পড়ুন- Sandeshkhali Row: গারদে ‘বাঘ’ শাহজাহান, অকাল হোলি সন্দেশখালিতে, একে অপরকে মিষ্টিমুখ মহিলাদের
ইডি সূত্রে বলা হচ্ছে, শাহজাহানকে গ্রেফতারের দাবিতে প্রথম অভিযোগ দায়ের করেছিল কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সুতরাং তাকে হেফাজতে চাওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে এজেন্সির। কারণ, শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ নিয়ে তাকে জেরা করা প্রয়োজন। ইডি-র দাবি মঞ্জুর হলে, শাহজাহানকেও হেফাজতে নিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের মতই দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হবে কিনা সেটাই দেখার। যদি তেমন হয় তবে, রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ফের টানাপোড়েন চরমে পৌঁছতে পারে ইডি-র।
শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ তথা সন্দেশখালিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত আমির গাজিকেও এদিন গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিন রাজ্য থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে বসিরহাট থানার পুলিশ। গাজিকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হলে তাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।