Sandeshkhali ED Attacked: সন্দেশখালিতে ইডির উপর ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে ১০ দিন। এখনও সেখানকার তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের টিকি পায়নি পুলিশ। কোথায় শাহজাহান শেখ? চলছে জোর চর্চা। এই পরিস্থিতিতে, সোমবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। আইনজীবী মারফত শাহজাহান কলকাতা হাইকোর্টকে জানান, তিনি সন্দেশখালির মামলায় যুক্ত হতে চান।
এরপরই শুনানিতে বিচারপতি রাজ্যের কাছে জানতে চান যে সন্দেশখালি কাণ্ডে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? জবাবে, রাজ্যের এজি কিশোর দত্ত জানান, এসডিপিও, ডিএসপি এবং সার্কুলার ইন্সপেক্টর সহ তদন্তে নজরদারির জন্য 'পর্যবেক্ষণ দল' গঠন করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারপতি সেনগুপ্ত রাজ্যের কাছে জানতে চান, ৫ জানুয়ারি হামলার ঘটনার পরে কি শেখ শাহজাহানের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করা হয়েছিল? উত্তরে 'না' বলেন এজি। যা শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি জয় সেগগুপ্ত। বলেন, 'এতো স্পষ্ট পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা'।
এইসবের মধ্যেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শাহজাহানের আইনজীবী। জানান, তিনি সন্দেশখালির মামলায় তাঁর মক্কেল শেখ শাহজাহান যুক্ত হতে চান। সঙ্গে সঙ্গেই বিচারপতি বলেন, 'এতক্ষণ ধরে পাশ থেকে রাজ্যের এজিকে আপনি তথ্য দিচ্ছিলেন কেন? আমি তখন ভেবেছিলাম আপনি রাজ্যের হয়ে রয়েছেন। প্রভাব খাটানোর কোনও চেষ্টা করবেন না। কেন আত্মসমর্পণ করেননি কেন?' যার জবাবে শাহজাহানের আইনজীবী দাবি করেন, ইডির অভিযান সঠিক ছিল না।
আরও পড়ুন- Digha: মকর সংক্রান্তিতে অভূতপূর্ব দৃশ্য দিঘায়! সমুদ্রনগরীর এমন বেনজির রূপ দেখে হতভম্ব অনেকেই!
এরপরই সন্দেশখালির ঘটনায় ন্যাজাট থানার পুলিশের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবীকে তাঁর প্রশ্ন ছিল, অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়ার পরও পুলিশ শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে কেন খোঁজখবর করল না কেন? পাশাপাশি, রাজ্যের কাছে কেস ডাইরি তলব করেন বিচারপতি। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগমিকাল, (১২ জানুয়ারি) মঙ্গলবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিনই রাজ্যকে কেস ডাইরি ও ভিডিও ফুটেজ জমা দিতে হবে। ওই দিনের লুঠ হওয়া সম্পত্তির মধ্যে পুলিশ এখনও কী কী উদ্ধার করতে পেরেছে তার হদিশ চেয়েছে হাইকোর্ট।
এ দিনের শুনানির পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'রাজ্য পুলিশের আশ্রয়েই রয়েছে শেখ শাহজাহান। পুলিশ ওকে গ্রেফতার করবে না। একমাত্র কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এই মামলার ভার গেলেই ওকে খুঁজে পাওয়া যাবে।'