পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা, হানাহানি, রক্তপাত চলছেই। এই অবস্থাকে 'রাক্ষসতন্ত্রের কার্নিভাল' বলে টুইটে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতার কন্ট্রাক্ট কিলার বলে কটাক্ষ করেছিলেন কমিশনার রাজীব সিনহাকে। এখানেই চুপ থাকলেন না শুভেন্দু অধিকারী। বেলা বাড়তেই নন্দীগ্রামের বিধায়ক ফোন করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে। হুঁশিয়ারির সুরে জানিয়ে দেন, আজ সন্ধ্যাতেই পার্ক স্ট্রিটের কমিশন দফতরে তালা ঝোলাতে যাবেন তিনি। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'চলো কালীঘাটের ইটগুলো খুলেনি৷'
তুলকালাম বিভিন্ন ঘটনার জন্য এদিন ক্ষোভ উগরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি কালীঘাট অভিযানের ডাক দেন৷ বলেন, 'মানুষের কাছে দু'টো রাস্তা আছে, জনগনের অভ্যুত্থান, চলো কালীঘাট, গুলি করুক, প্রথম ১০-২০ জন মরবে, কিন্তু বাংলা বেঁচে যাবে৷ আমি সেই তালিকায় থাকতে রাজি আছি৷ চলো কালীঘাটের ইটগুলো খুলেনি৷ এ ছাড়া ৩৫৬ অথবা ৩৫৫ করে নিতে হবে৷ এর কোনও বিকল্প নেই৷ দিল্লির কে কী ভাববে, অন্য কে কী বলবে জানার দরকার নেই৷ আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করার জন্য মন্ত্রীত্ত্ব ছেড়ে এখানে এসেছি৷ একটা কারণে এখানে এসেছি৷ আমি একটা উদ্দেশ্য লক্ষ্য নিয়ে এসেছি৷ যাতে আমার আপলিফমেন্ট হয়, সেটা হচ্ছে বেঙ্গলকে বাঁচানো৷ সেই লক্ষ্যে আমি অবিচল থাকব৷ তার জন্য আমাকে যা করতে হয়, করব৷ পতাকা নিয়ে বা পতাকা ছেড়ে, বাংলায় গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আমি তাই করব৷'
সব সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে সেগুলি ফরেন্সিকে পাঠানোরও দাবি তুলেছেন শুভেন্দু৷ আগামী মঙ্গলবার তিনি আদালতের যাওয়ারও হুঙ্কার ছেড়েছেন৷ গোটা প্রক্রিয়ার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
সাংবাদিক বৈঠকের পরই শুভেন্দু অধিকারী নিজে কমিশনার রাজীব সিনহাকে ফোন করেন। জানা গিয়েছে, শুরুতেই কমিশনারের কাছে বিরোধী দলনেতা জানতে চান, আর কত রক্ত চাই আপনার? এরপরই হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, 'সন্ধ্যা ৬টায় কমিশন দফতরে যাচ্ছি। তালা ঝোলাব।'
আরও পড়ুন- Live Updates: বাসন্তীতে বোমা মেরে খুন, নওদায় খুন গুলি করে! এখনও পর্যন্ত ভোট-যুদ্ধের বলি ৩০
এদিকে, রক্তস্নাত বাংলার জন্য কমিশনার রাজীব সিনহাকে দায়ী করছে বিরোধী কংগ্রেসও। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করতে টিটাগড় থানায় একটি মেল করেছেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী।
শুভেন্দু অদিকারী মন্তব্যের পাল্টা প্রক্রিয়ার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'আগে থেকেই হেরে যাবেন বলে এসব নাকে কান্না কাঁদছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ ৭০ হাজার বুথের মধ্যে সামান্য কোথাও ঝামেলা হয়েছে৷ সেটা নিয়ে এসব বলার কোনও মানে নেই৷ বিজেপি হেরে যাবে বলে এখন এসব কথা বলছে।'