বেঙ্গল সাফারি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও এখনো লেপার্ড শচীনের খোঁজ বের করতে পারলেন না কতৃপক্ষ। বৃহস্পতিবারও চারটি কুনকি হাতি ও ড্রোন দিয়ে খোঁজ চালানো হলেও কোন খোঁজ মেলেনি শচীনের। এদিকে বেঙ্গল সাফারির সীমান্তে নদীর চরে লেপার্ডের পায়ের ছাপ পাওয়া যাওয়ায় তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে কি শচীন সাফারির ঘেরাটোপে নেই? সেই কথাই এখন ভাবাচ্ছে সাফারি কর্তৃপক্ষকে।
অন্যদিকে, সম্ভবত নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই পার্কে সাংবাদিকদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। সকাল থেকে আধিকারিকদের একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই দুপুর দুটোর সময় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
নদীর চরে তবে কার পায়ের ছাপ?
১ জানুয়ারি নিজের এনক্লোজার টপকে পালিয়ে যায় লেপার্ড শচীন। এরপর থেকে শুরু হয় শচীনের খোঁজ। প্রথমবার তাকে হার্বিভোরাস সাফারিতে দেখা যায় বলে দাবি করেন বেঙ্গল সাফারি কর্তৃপক্ষ। এরপর হার্বিভোরাস সাফারির ভেতরে খোঁজ শুরু হয় শচীনের। বুধবার দিনভর খোঁজার পর হার্বিভোরাস সাফারিতে অস্তিত্ব মেলেনি তার। এর পরেই জঙ্গলে ট্র্যাক ক্যামেরা পাতেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, সেই ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, সাতমাইল সংলগ্ন রাইনো এনক্লোজারের ভিতর ঢুকে পড়েছে শচীন।
আরও পড়ুন: শচীন পলাতক, থরহরি শিলিগুড়ি
বুধবার রাতেই জলদাপাড়ার হলং টুরিস্ট লজ থেকে আরো দুটি কুনকি হাতি নিয়ে আসা হয় বেঙ্গল সাফারিতে। বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে চারটি কুনকি হাতি এবং ড্রোন নিয়ে খোঁজ শুরু হয় শচীনের। সঙ্গে ছিলেন ১৫০ জন বনকর্মী এবং বেঙ্গল সাফারি ডিরেক্টর রাজেন্দ্র জাখর ও দার্জিলিং ওয়াইল্ডলাইফের ডিএফও ধরমদেও রাই। কিন্তু এদিনও খালি হাতেই ফিরতে হয় বনকর্মীদের।
অন্যদিকে সাতমাইল এলাকায় যে জায়গায় লেপার্ড এর পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে, সেখানে গিয়ে খোঁজখবর করেন বনকর্মীদের একটি দল। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু পায়ের ছাপের ছবিও তুলে নিয়ে আসেন তাঁরা। তবে কি সাফারি থেকে পালিয়ে গিয়েছে শচীন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বনকর্মীদের একাংশের মধ্যে। যদিও সাফারি কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই পায়ের ছাপগুলো অন্য কোনও লেপার্ডের। শচীন এখনো বেঙ্গল সাফারি ভেতরের জঙ্গলেই রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। তার পায়ের ছাপও পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা।