Income from Farming: অভূতপূর্ব তৎপরতায় বিপুল সাফল্য দম্পতির। বাড়িতেই নয়া এক তৎপরতায় লেগে থেকে প্রশ্নাতীত সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা। চটজলদি মোটা টাকা রোজগার (Income) করতেও শুরু করে দিয়েছেন এই দম্পতি। তাঁদের নিদারুণ এই প্রয়াস দেখে এলাকার বেকার তরুণ-তরুণী-সহ অনেকেই রীতিমতো আকৃষ্ট হচ্ছেন। কীভাবে এই কারবারে নামা যায় সেব্যাপারে উদ্যোগী হচ্ছেন তাঁরাও। এককথায় পুরাতন মালদার (Malda) এই এলাকায় নতুন এই কাজে নেমে বেকারদের দিশা দেখাচ্ছে এই দম্পতি।
পাহাড়ি জাতের লঙ্কা (Chili) সমতলে চাষ করে লাভের পাশাপাশি স্বনির্ভর হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন পুরাতন মালদার এক কৃষক দম্পতি। এই প্রথম পুরাতন মালদা (Old Malda) ব্লকের মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাঞ্জইল গ্রামে শুরু হয়েছে পাহাড়ি জাতের লঙ্কা চাষ। এই ধরনের লঙ্কাকে 'সিমলা মির্চ' (Sinla Mirch) অথবা প্রচলিত ভাষায় 'আঁচলের লঙ্কা' বলা হয়ে থাকে।
এই লঙ্কা চাষে খানিকটা পরিশ্রম বেশি হলেও লাভ রয়েছে দ্বিগুণ। ফলে অন্যান্য ফসল-সবজি (Vegetables) চাষের পাশাপাশি এখন এই 'সিমলা মির্চ' চাষ করেই মূলত ভালো রোজগার করছেন কৃষক দম্পতি উপেন রাজবংশী ও সুমিত্রা রাজবংশী। তবে এই চাষ করতে হলে একটু জমির প্রয়োজন। বাড়িতে খানিকটা ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকলে সেখানে অনায়াসে এই লঙ্কার চাষ শুরু করতে পারেন যে কেউ।
এই সেই সিমলা মির্চ।
আরও পড়ুন- Muri Ganga River: মুড়িগঙ্গা নদীতে আশ্চর্য কাণ্ড! প্রকাণ্ড এই জীব জল থেকে উঠতেই চোখ ছানাবড়া!
ওই কৃষক দম্পতিরা জানিয়েছেন, এক বিঘা জমিতে পাহাড়ি জাতের লঙ্কা যাকে 'সিমলা মির্চ' বলা হয় তা চাষ করতে খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। এবছর তাঁরা তিন বিঘা জমিতে এই লঙ্কার চাষ শুরু করেছেন। গত সেপ্টেম্বর মাসে এই প্রজাতির লঙ্কা গাছ লাগিয়েছেন তাঁরা । ফেব্রুয়ারি মাস পড়তেই গাছ থেকে লঙ্কা তোলার কাজ শুরু হয়েছে। পরিশ্রমের তুলনায় লাভ রয়েছে দ্বিগুণ। মালদা (Malda) জেলায় মূলত এই মহিষবাথানি গ্রাম পঞ্চায়েতেই সিমলা মির্চের চাষ শুরু হয়েছে।
লঙ্কা চাষি ওপেন রাজবংশীর কথায়, "আমাদের দেখে আরও কয়েকজন চাষি এবছর এই জাতের লঙ্কা চাষ শুরু করেছেন। যেহেতু এই লঙ্কা চাষ শুরু করতে প্রথমেই মোটা টাকা খরচ হয়, তাই অনেকেই এই জাতের লঙ্কা চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু এই সিমলা মির্চ উৎপাদনের পর তা সঠিকভাবে পাইকারদের কাছে রফতানি করলে দাম ভালো পাওয়া যাচ্ছে। এমনকী মালদার পাশাপাশি অন্য জেলা থেকেও পাইকারিরা আসছেন এই জাতের লঙ্কা কেনার জন্য। বর্তমানে বাজারে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা কুইন্টাল দরে বিক্রি হচ্ছে এই পাহাড়ি জাতের লঙ্কা। শুধু আচার নয়, যে কোনও ধরনের মুখরোচক খাবারেও এই জাতের লঙ্কা ব্যবহার হয়ে থাকে।"
ওই কৃষক দম্পতির বক্তব্য, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে এই চাষের জন্য সহযোগিতা করা হলে অনেকের আগ্রহ বাড়বে। পাশাপাশি এই লঙ্কা চাষ করে খুব কম সময়ের মধ্যে স্বনির্ভর হতে পারবেন বহু কৃষকেরা। মালদা জেলা উদ্যান পালন দফরের আধিকারিক সামন্ত লায়েক জানিয়েছেন, এই ধরনের লঙ্কা চাষের ক্ষেত্রে চাষীদের আগ্রহ বাড়াতে সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সমস্ত রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।
আরও পড়ুন- Premium: বাংলার ‘মিষ্টি গল্প’: স্বয়ং রামকৃষ্ণদেবের প্রিয় ছিল এই মিষ্টান্ন, কামারপুকুরের ‘সাদা বোঁদে’ স্বাদে অনন্য