/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/17/singur-nurse-death-2025-08-17-08-57-00.jpg)
ফের রাজ্যে অভয়া মৃত্যুর ছায়া!
Singur Nurse Death: হুগলির সিঙ্গুরে নার্সের মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা। মাত্র ২৪ বছরের ওই নার্সকে বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের তিন তলা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই পরিবারের অভিযোগ, এটা আত্মহত্যা নয়, বরং পূর্বপরিকল্পিত খুন। মৃতার বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করে পরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, রাজ্য পুলিশের উপর তাদের কোনও আস্থা নেই। তাই সিবিআই তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি চাই সিবিআই তদন্ত হোক। এ আত্মহত্যা নয়, পরিকল্পিত খুন। মেয়েকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছি না। প্রয়োজনে আদালতে যাব। যারা দোষী, তাদের কড়া শাস্তি চাই।”
শনিবারই কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এআইআইএমএস কল্যাণীতে। পরিবারের দাবিতেই এই পদক্ষেপ। কারণ তারা জানিয়েছিল, রাজ্য সরকারি হাসপাতালে ময়নাতদন্তে আস্থা নেই তাদের। শনিবার সকাল ৮টা নাগাদ শুরু হয় ময়নাতদন্ত, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে ময়নাতদন্ত। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফি করে সম্পন্ন করা হয় ময়নাতদন্ত।
মৃতার পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমের অনিয়ম ফাঁস করেছিলেন পরিবারের মেয়ে। সেই কারণেই তাঁকে যৌন হেনস্থা করে খুন করা হয়েছে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, আত্মহত্যা করেছেন ওই নার্স। পরিবারের তরফে আরও জানানো হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী মাত্র চার দিন আগে সিঙ্গুরের ওই নার্সিংহোমে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা । বিজেপি ও সিপিএমের কর্মীরা দফায় দফায় সিঙ্গুরে বিক্ষোভ দেখান। শুক্রবার দেহ ময়নাতদন্তের জন্য কলকাতায় আনা হলে, সিপিএম ছাত্র-যুব সংগঠন ও বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীরা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান।
বর্তমানে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় পরিবার ও প্রশাসন। তবে বাবার অভিযোগে নতুন মোড় নিয়েছে সিঙ্গুরের নার্স মৃত্যুর মামলা। পরিবারের দাবি, ওই তরুণীকে যৌন হেনস্থা করে খুন করা হয়েছে। কারণ, তিনি নার্সিংহোমের একাধিক অনিয়মের তথ্য ফাঁস করেছিলেন।
তবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আত্মহত্যা করেছেন ওই নার্স। পরিবার জানিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী মাত্র চার দিন আগে ওই নার্সিংহোমে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।” অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, “যদি তদন্তে প্রমাণিত হয় যে খুন হয়েছে, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”