মুখ্যমন্ত্রীপদে শপথ গ্রহণের পরই বুধবার বড়সড় পুলিশি রদবদল করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে তাৎপর্যপূর্ণ বদল হয়েছে কোচবিহারে। ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে বুথের মধ্যে গুলি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৪জন ভোটারের। পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দায়িত্ব গ্রহণের পরই তাঁকে সাসপেন্ড করল নবান্ন।
কোচবিহারের শীতলখুচি কেন্দ্রের জোড়পাটকির ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার দাবি করেন, বাহিনী আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছে। তাঁর বক্তব্য ছিল, প্রায় ৩০০ জনের একটি দল লাঠি এবং হাতে তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঘেরাও করে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালায়।
আরও পড়ুন, BJP-কে উৎখাতের পথ দেখাল বাংলা, ২৪-র সুর বেঁধে বিরোধী নেতাদের বার্তা মমতার
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘‘কোচবিহারের এসপি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। বিজেপি খুন, অত্যাচার করছে। সব থেকে বেশি অত্যাচার করছে কোচবিহারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীও খুব অত্যাচার করেছে। সব দেখে নেব।’’ দেবাশিস ধরের জায়গায় ওই জেলার পুলিশ সুপার করা হয়েছে কে কান্নানকে।
বুধবারই রাজ্যের একাধিক জেলার পুলিশ সুপারকে বদলি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বদলি হওয়া ২৯ জন শীর্ষ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা বদলি করা হয়েছে। জাভেদ শামিমকে ডিজি দমকল পদ থেকে সরিয়ে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অ্যাডভাইসার (সিকিউরিটি এবং ভিজিলেন্স) পদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডিরেক্টর জেনারেল বীরেন্দ্রকে। তাঁকেও ফিরিয়ে আনা হয়েছে পুরনো পদে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন