কতটুকুই বা বয়স? মাত্র ৬ বছর। আর এই বয়সেই ক্যারাটেতে ব্ল্যাক বেল্ট। চুঁচুড়া সেন্ট থমাস চার্চ স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী বর্ণালী চন্দ। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যারাটের বিভিন্ন প্যাঁচ পয়জারেও তুখোড় সে। মার্শাল আর্টের ১২ রকমের কাতায় পারদর্শী বর্ণালী। ক্ষুদের এই অনন্য প্রতিভায় শুধুই চমক।
বাবার হাত ধরে মাত্র তিন বছর বয়স থেকে ক্যারাটের প্রশিক্ষণ শুরু হয় বর্ণালীর। বর্তমানে বর্ণালীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন চন্দননগরের ক্যারাটে প্রশিক্ষক অমিতাভ ঘোষে। বর্ণালী বাবা সুজয় চন্দ বলেন, 'করোনার সময় স্কুল ছুটি ছিল, সব কিছু বন্ধ থাকায় সে সময় সুবিধা হয়েছিল মেয়ের। ওর ইচ্ছা দেখে প্রতিদিন দু-বেলা প্রশিক্ষণ দিতে নিয়ে গিয়েছি চুঁচুড়া প্রিয়নগর মাঠে। একা একাই প্রশিক্ষকের কাছে শিখত মেয়ে। ফলে অনেকটা বেশি সময় ধরে শিখতে পেরেছে ও। তাতেই ফল ভালো হয়েছে।'
আরও পড়ুন- MBA Chaiwala এখন অতীত, বাঙালির খাস আড্ডার নতুন ঠিকানা IAS Chaiwala
বর্ণালী ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস, ইন্টারন্যাশনাল কালামস গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস, ওএমজি রেকর্ডস, আমেরিকা রেকর্ডস থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। আরও আশায় লিমকা বুক অফ রেকর্ডস এবং গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছে সে।
আরও পড়ুন- পেনসিলের সিসেই তৈরি ক্ষুদ্রতম গনেশ মূর্তি, তাক লাগানো প্রতিভায় সোনার ছেলের বিরাট স্বীকৃতি
চুঁচুড়া শুভপল্লীতে ছোট্ট দোতলা বাড়িতে থাকেন বর্ণালী চন্দের বাবা সুজয়। ছোটখাটো ব্যবসায়ী হলেও স্বপ্নটা বিশাল। বাড়িতে স্ত্রী ত্রিমা ছাড়াও রয়েছেন দুই মেয়ে বর্ণালী ও এক বছরের রিতমা। সুজয় জানান, আমার স্বপ্ন, আমার বড় মেয়ে প্রচুর রেকর্ড গড়বে আর ছোট মেয়ে সেই রেকর্ড ভাঙবে। অর্থাৎ তিনি তার ছোট মেয়েকেও আগামী দিনে ক্যারাটেতেই ভর্তি করাবেন বলে জানিয়েছেন।