Sonam Raghuvanshi Arrest: হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খুনে সুপারি! বুক কাঁপিয়ে দেওয়া হত্যা মামলায় অবশেষে পুলিশের জালে স্ত্রী সোনম। খুনের ঘটনায় দেশ জুড়ে আলোড়ণ পড়ে গিয়েছে।
মেঘালয়ের হানিমুন গিয়ে স্বামীকে খুন! গা ঢাকা দিয়েও শেষ রক্ষা হল না। নারকীয় এই খুনে গ্রেফতার রাজা রঘুবংশীর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। উত্তর প্রদেশের গাজিপুর থেকে সোনমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে সোনমই তার স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিলেন। তিনি ১৭ দিন ধরে পলাতক ছিলেন এবং তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
রবিবার সন্ধ্যায় উত্তর প্রদেশের গাজিপুর জেলা থেকে নিখোঁজ সোনম রঘুবংশীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত যে সোনম রঘুবংশী তার স্বামীকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং তিনিই এই হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। মেঘালয়ের ডিজিপি নোংরাংয়ের মতে, মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমার সময় ইন্দোরের ওই ব্যক্তির হত্যার সাথে স্ত্রী জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি ভাড়াটে খুনিদের স্বামীকে খুন করতে সুপারি দিয়েছিলেন।
ডিজিপি আরও জানিয়েছেন ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা 'এক্স'-এ লিখেছেন, 'সাত দিনের মধ্যে রাজা হত্যা মামলায় পুলিশ বড় সাফল্য পেয়েছে'।
কীভাবে ধরা পড়লেন সোনম রঘুবংশী?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনম প্রায় ১৭ দিন ধরে পলাতক ছিল। অবশেষে পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। পুলিশ ওঁত পেতেই ছিল। যখনই সে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য ফোন করে, সেই সময় মোবাইল টাওয়ার লোকেশন ধরে সোনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, স্বামীর সাথে মধুচন্দ্রিমা কাটাতে ইন্দোর থেকে মেঘালয় গিয়েছিল সোনম। এরপর ২ জুন তার স্বামী রাজা রঘুবংশীর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
দেখে নিন গোটা ঘটনা এক নজরে-
দুজনেই তাদের মধুচন্দ্রিমা উদযাপনের জন্য ২২শে মে শিলং পৌঁছেছিলেন।
২৩শে মে, তারা দুজনেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন।
২৩শে মে দুপুর ১:৪৩ মিনিটে, সোনম তার শাশুড়ির সাথে কথা বলেন।
২৩শে মে দুপুর ২টো থেকে সোনম এবং রাজার ফোন বন্ধ ছিল।
২৪শে মে, রাজার স্কুটারটি ওসরা পাহাড়ের পার্কিং লটে পাওয়া যায়।
২ জুন উদ্ধার হয় রাজার মৃতদেহ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজাকে হত্যা করা হয়েছে।
২ জুন রাজার মৃতদেহ পাওয়ার পর, দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়, যেখানে নিশ্চিত হয় যে রাজাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে। এরপর পুলিশ সোনমকে খুঁজতে শুরু করে।
এনডিআরএফ, এসডিআরএফ এবং মিজোরাম পুলিশ সোনমের খোঁজে সর্বত্র তল্লাশি চালায়, কিন্তু তার কোনও সন্ধান পায়নি।
এদিকে, মধ্যপ্রদেশ সরকার পুরো ঘটনাটির রহস্যভেদ করতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করে। অবশেষে, ৮-৯ জুন রাতে, সোনম রঘুবংশীকে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুরের একটি ধাবা থেকে পাওয়া যায় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।