দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে শুটআউট। বাড়ির কাছেই গুলি করে খুন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে জয়নগরের বামনগাছি এলাকায়। খুনের নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম, এমনই অভিযোগ নিহত তৃণমূল পঞ্চায়ত সদস্য সইফুদ্দিন লস্করের বাবার। যদিও এই অভিযোগের পাল্টা প্রতিক্রিয়া এখনও সিপিএমের তরফে মেলেনি।
ফের খুন। এবার ঘটনাস্থাল দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে বামনগাছি এলাকায় বাড়ির কাছেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে ঘিরে ধরে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সোমবার ভোরের দিকে নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ওই ব্যক্তি, তখনই চলে এই হামলা। আশেপাশের এলাকা কিছুটা ফাঁকা ছিল। সেই সুযোগেই তৃণমূলের নেতার উপর চলে অতর্কিতে হামলা। গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে আসেন বাসিন্দারা। ততক্ষণে দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিয়ে শুয়ে কাতরাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর।
পরে তাঁকে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সইফুদ্দিন এলাকার জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা ছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকায় কাজ করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। নিহতের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে খুনের পিছনে সিপিএমের চক্রান্ত করেছে।
এই ঘটনার পিছনে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্বকেই দায়ী করেছেন তিনি। বৃদ্ধের কথায়, "সিপিএমের লোক আমার ছেলেকে মেরেছে। চক্রান্ত করেই খুন করা হয়েছে। আমার ছেলের ব্যক্তিগত কোনও শত্রু ছিল না। সে জনসেবা করত। পঞ্চায়েতে বিভিন্ন আসনে ওঁর নেতৃত্বেই জয় পেয়েছিল তৃণমূল। সেই আক্রোশ থেকেই খুন বলে মনে হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- অসুুস্থতার কথা বলেও লাভ হল না, জ্যোতিপ্রিয়কে জেলেই পাঠাল আদালত
ঘটনার খবর পেয়েই পদ্মেরহাট হাসপাতালে ছুটে আসেন স্থানীয় বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক বিভাস সরদার। তিনি বলেন, “দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। ও আমাদের বামনগাছির অঞ্চল সভাপতি। ভোরবেলা নমাজ পড়তে যাচ্ছিল। বাড়ির সামনেই মসজিদ। পুলিশ ঘটনার শুরু করেছে। ভিতরে কোনও ষড়যন্ত্র আছে কি না তা দেখছে পুলিশ। ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। একজনকে মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভা এলাকার উস্তি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ।আর অন্য একজনকে গোদাবর বাঁশতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চার-পাঁচ জন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল বলে মনে হচ্ছে।”