ভাইফোঁটার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে শোভন-বৈশাখী। শোভন চট্টোপাধ্যায়কে ভাইফোঁটা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 'অভিমানের মেঘ কেটে গেছে', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বললেন শোভন-বান্ধবী বৈশাখী। দিদির কাছ থেকে ভাইফোঁটা নিয়ে আহ্লাদে আটখানা শোভনও। 'টস হয়ে গিয়েছে গ্লাভস পরে ক্রিজে নামার অপেক্ষা।' মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সহাস্য জবাব শোভনের।
ভুল বোঝাবুঝির মেঘ কি তবে সরল? ইঙ্গিতটা কিন্তু বেশ স্পষ্ট। বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটার দিন দুপুর আড়াইটে নাহাদ হঠাৎই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাইফোঁটা দিয়েছেন তাঁর স্নেহের কাননকে। বেশ কিছুক্ষণ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে থাকার পর বেরিয়ে আসেন শোভন-বৈশাখী।
দিদর হাতে ভাইফোঁটা নিয়ে এদিন খুশিতে ডগমগ শোভন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বললেন, ''টস হয়ে গিয়েছে গ্লাভস পরে ক্রিজে নামার অপেক্ষা। এই দিনের জন্য আলাদা করে আমন্ত্রণ হয় না। আজকের দিনে দিদির কাছে আসব, এটা আলাদা করে কি বলব। দিদি ও আমার মধ্যে একান্তে কথা হয়েছে। দিদি যা সিগন্যাল দেওয়ার বা যেটা বলেছেন, তার বাস্তবায়ন করব। দিদির ভালোবাসা, স্নেহ সেটা অনেক সময় অনেকভাবে ক্যালকুলেশন করা হয়। বাস্তবটা কি সেটা আমিই জানি।''
আরও পড়ুন- ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত, শাহের ডাকা বৈঠক এড়ালেন মমতা
অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে বেরিয়ে বেশ খুশি শোভন-বান্ধবী বৈশাখীও। 'মান-অভিমান যা ছিল সব ঘুঁচে গেছে, শোভন দ্রুত রাজনীতিতে ফিরুন', এটাই চান বান্ধবী বৈশাখী। এদিন তিনি বলেন, ''দিদির মমত্ব আবারও দেখা গেল। শোভন মমতাদির খুব আদরের। ওঁদের দু'জনের পারস্পারিক টানটা খুবই মজবুত। এতে আমি খুশি। শোভনকে দিদি কোনও দিনই নিষ্ক্রিয় ভাবেন না। ওঁকে সবসময়ই কাজ করতে বলেন। আমার মনে হয় দিদির সঙ্গে শোভনের সম্পর্ক এক জায়গাতেই ছিল। কিন্তু কিছু ভুল বোঝাবুঝির দেওয়াল তুলেছিল, সেটা ধ্বংস হয়েছে। ভাল লাগছে। শোভনের এবার সরাসরি রাজবনীতিতে ফেরা উচিত।'
এদিকে, ভইফোঁটার দিন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছে যাওয়া নিয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''বিতর্কে ঢুকতে চাই না। আমার নিজের একটা রাজনৈতিক ক্ষেত্র দিদি করে দিয়েছেন। দিদি ওঁকে ফোঁটা দিতে ডেকেছেন, উনি গেছেন। ২০১৮ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের রাজনীতির কেরিয়ার শেষ হয়েছে। ৪ বছর পর সক্রিয় রাজনীতিতে আসবেন কি আসবেন না সেটা পরে বোঝা যাবে।''