Advertisment

'হঠাৎ করে উত্তেজিত করাতেই কামড়', পুলিশের ঢাল হয়ে সাফাই স্পিকার বিমানের

অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ইভা থাপার আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
speaker biman banerjee comment on police bites in hand of primary job sicker

স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

আন্দোলনকারী চাকরি প্রার্থীকে পুলিশের কামড় ঘিরে তোলপাড় রাজ্য। সমালোচনার ঝড় নানা মহলে। শাসক দলের একাংশ অভিযুক্তের পক্ষে সওয়াল করলেও অন্য অংশ বিষয়টিকে দুঃখজনক বলে মনে করছে। এই আবহেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মী ইভা থাপার আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisment

কী বলেছেন অধ্যক্ষ?

কামড় কাণ্ড 'বিচারাধীন' বলেও রাখঢাক না করেই অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে সমর্থন করেছেন। বলেছেন, 'বিষয়টি বিচারাধীন। এ নিয়ে আর আমি কী বলব। কী প্ররোচনা তৈরি হয়েছিল দেখতে হবে। যদি কাউকে হঠাৎ এমনভাবে উত্তেজিত করে দেওয়া হয়, আর তিনি যদি সেই উত্তেজনা প্রশমনে কোনও কাজ করেন তাহলে তা অপরাধ নয়।'

গত বুধবার ২০১৪-র টেট পরীক্ষায় নন ইনক্লুডেড চাকরিপ্রার্থীরা এক্সাইড মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলে্ন। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিক্ষোভাকারীরা। একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় এক মহিলা পুলিশকর্মী ছুটে গিয়ে এক চাকরি প্রার্থীর হাত চেপে মুখটা নিচু করে দিচ্ছেন। এরপরই একটি ফুটেজ ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, চাকরিপ্রার্থী অরুণিমা পালের বাঁ হাতে দাঁতের দাগ। মহিলা পুলিশকর্মী ইভা থাপা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ জখম চাকরিপ্রার্থী।

এরপরই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। পাল্টা পুলিশের তরফেও জানানো হয়, আগেই ইভা থাপাকে কামড়ে বিদ্ধ করা হয়েছিল। এসএসকেএমে পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে।

আরও পড়ুন- পুলিশের কামড়: জোড়াফুলে প্রবল অস্বস্তি, সাংসদ-বিধায়কের মন্তব্যে তৃণমূলে তুঙ্গে চর্চা

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার তৃণমূল বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, 'দিনের পর দিন গোটা সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টা। পুলিশকে কামড়ে দিলে তার বিনিময়ে পুলিশ কামড়ে দেবে না তো কি রসগোল্লা ছুড়বে? এটা ভেবে দেখবেন। আজ এই রকম একটা চক্রান্ত সারা বাংলা জুড়ে চলছে। আমাদের সবাইকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।'

তবে সহমত নন সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায়, 'আন্দোলনকারীকে কনস্টেবলের কামড় কলঙ্কিত করেছে পুলিশ বাহিনীকে। এটা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। না হলেই ভালো হতো। এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর রিপোর্টও আছে। সেই পুলিশ কনস্টেবল বলছে তাঁকে কামড়ে দিয়েছে। তবে কারোরই কামড়ে দেওয়া উচিত নয়। এমনিতে পুলিশ সেদিন চাকরিপ্রার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেনি। একটা ছোট্ট ঘটনায় পুলিশ যে সংযম দেখিয়েছিল সেটা কলঙ্কিত হল। এটা দুর্ভাগ্যজনক। নিশ্চই পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।'

kolkata police West Bengal Biman Banerjee
Advertisment