আরজি কর কাণ্ডের গতকালের ছাত্রদের মিছিলের উপর পুলিশি নির্যাতন ও নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে আজ ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এদিনের বন্ধের প্রভাবে সকাল থেকে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে পথ চলতি সাধারণ মানুষ। যদিও সরকারের তরফে আজকের এই বন্ধকে অবৈধ ও বেআইনি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, আজ ২৮ অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আজকের এই দিনটিকে আরজি করের নিহত তরুণী চিকিৎসককে উৎসর্গের বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মুখ্যমন্ত্রী একটি এক্স পোস্টের মাধ্যমে লেখা বার্তায় বলেছেন, "আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসটিকে আমি উৎসর্গ করছি আমাদের সেই বোনটিকে, যাঁকে আমরা কয়েক দিন আগে আর জি কর হাসপাতালে মর্মান্তিকভাবে হারিয়েছি। এই ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। আর জি করে আমাদের সেই যে বোনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল, তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিকতম সমবেদনা জানিয়ে এবং দ্রুততম গতিতে সেই ঘটনার সুবিচার চেয়ে, সেইসঙ্গে সারা ভারতে সকল বয়সের যত নারী যেখানে যত অমানুষিক ঘটনার শিকার হয়েছেন, তাঁদের সকলের জন্য আমরা হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আমাদের দুঃখ জ্ঞাপন করি"।
পাশাপাশি ছাত্র যুবদের উদ্দেশ্যে এই পোস্টে মমতা বলেছেন, "ছাত্র-ছাত্রী, যুবক-যুবতীদের একটা বড় সামাজিক ভূমিকা আছে। সমাজ ও সংস্কৃতিকে জাগ্রত রাখার মধ্যে দিয়ে নতুন দিনের স্বপ্ন উপহার দেওয়া এবং চারপাশের সকলকে নতুন দিনের উজ্জ্বল ব্রতে উদ্বুদ্ধ করাই ছাত্র সমাজের কাজ। আজকের দিনে তাঁদের সকলের প্রতি আমার আবেদন, এই প্রচেষ্টায় উদ্বুদ্ধ হন, ব্রতী থাকুন। আমার ছাত্র-ছাত্রী বন্ধুরা ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সংকল্পে নিয়োজিত থাকুন"।
আরও পড়ুন - [ Bangla Bandh: বনধকে ঘিরে ধুন্ধুমার মালদায়, পুলিশের সামনেই তৃণমূল-বিজেপি ব্যাপক সংঘর্ষ
আজ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসটিকে আমি উৎসর্গ করছি আমাদের সেই বোনটিকে, যাঁকে আমরা কয়েক দিন আগে আর জি কর হাসপাতালে মর্মান্তিকভাবে হারিয়ে শোকাহত।
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 28, 2024
আর জি করে আমাদের সেই যে বোনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল, তাঁর পরিবারের প্রতি আন্তরিকতম সমবেদনা জানিয়ে এবং…
উল্লেখ্য আজ বিজেপির ডাকা বন্ধের আবহে দুপুরে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ হওয়ার কথা। সেই সমাবেশ ঘিরে যাতে কোন রকমের অশান্তির ঘটনা না ঘটে তা রোখাই আজ পুলিশের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ।