সোমবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক তৃণমূল নেতা মুকুল রায় দিল্লিতে গিয়েছেন। আর মঙ্গলবার সকালে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্ট করেছেন 'প্রত্যাবর্তন'। সেই পোস্টের নীচে বিজেপিতে মুকুলের যোগদান নিয়ে নানা সম্ভাবনার কথা, বিরোধিতার কথা। গেরুয়া শিবিরে নতুন করে মুকুলের যোগ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। তারপর ফের ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের পর সপুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে জোড়াফুলের পতাকা হাতে নিয়েছিলেন মুকুল। সেদিন অবশ্য মুকুল রায় বলেছিলেন কেন তিনি তৃণমূল যোগ দিলেন তা লিখিত বিবৃতি দিয়ে পরে জানাবেন। যদিও সেই বিবৃতি কখনও দেখা যায়নি। সোমবার সন্ধ্যার ইন্ডিগো ফ্লাইটে দিল্লিতে পৌঁছাতেই ফের নতুন করে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। তিনি যে দিল্লি যাবেন তা জানতেন না পুত্র শুভ্রাংশু রায়। মুকুলের গেরুয়া যোগের জল্পনা শুরু হয়েছে অনুপম হাজরার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে। তবে এবিষয়ে অনুপম হাজরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এর আগে চিটফান্ডের তদন্তের সময় দিল্লি গিয়ে ২০১৭-এর শেষের দিকে গেরুয়া পতাকা হাতে নিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন সেকেন্ড ইন কমান্ড। তারপর ২০২১-এ কৃষ্ণনগর বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি বিজেপির প্রার্থী হন। বিধায়ক হতেই পুরনো দলে ফিরে যান মুকুল রায়। তৃণমূলে ফিরলেও কার্যত দলের কোনও সাংগঠনিক দায়িত্বই তাঁকে দেওয়া হয়নি। বাড়ি থেকে সল্টলেক আর সেখান থেকে বিকেলে বাড়ি, এটাই ছিল মুকুল রায়ের প্রতিদিনের কর্মসূচি। তাছাড়া শারীরিক অসুস্থ বলেও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই অবস্থায় হঠাৎ দিল্লি চলে যাওয়া নানা জল্পনার সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন- মুকুল দিল্লিতে কেন? মান-অভিমান না অন্য উদ্দেশ্য? জোর জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা 'প্রত্যাবর্তন' ফেসবুক পোস্ট হওয়ার পর ফের যোগদান বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। দিল্লি যাত্রাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি বিশেষ কারও সিগন্যালে মুকুল রায় দিল্লি গিয়েছেন? বিশেষ কোনও ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ করার কথা? না নেহাতই পারিবারিক মান-অভিমানের জন্য দিল্লি ছুটেছেন মুকুল? মুকুল রায়ের ফোন সুইচড অফ রয়েছে। তাঁর সঙ্গী ভগীরথ মাহাতর মোবাইল ফোন বন্ধ। কেন দিল্লি গিয়েছেন বাবা তা স্পষ্ট করেননি শুভ্রাংশু রায়। এদিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। একাধিক বিধায়ক এই দুর্নীতিতে যুক্ত বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। স্বভাবতই রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে।