নদিয়ার তেহট্টে ৫জনের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়ায় এলাকায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যে ৮ জনকে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তবে তেহট্টের মানুষের আতঙ্ক দূর করতে জীবাণুমুক্ত করতে স্প্রিংকলার গাড়ি ও হ্যান্ড মেশিন পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা।
নদিয়ার তেহট্টের বার্নিয়া গ্রামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ৫জন কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ তেহট্টের কর্মতীর্থ থেকে তাঁদের একটি এম্বুলেন্স করে কলকাতা পাঠানো হয়। পাশাপাশি এঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন আট জনকেও এদিন দুটি এম্বুলেন্স করে পাঠানো হয়েছে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। তবে শুক্রবার রাত থেকে এই ঘটনা চাউড় হতেই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্য়ে আতঙ্ক দানা বাঁধে। আর কারা কারা ওই অনুষ্ঠান বাড়িতে হাজির ছিলেন তা নিয়ে খোঁজ খবর শুরু করেছে স্বাস্থ্য় দফতরও।
আরও পড়ুন: বাংলার করোনাকাণ্ড বিয়ে বাড়িতেই, জারি দোষ চাপানোর খেলা
এদিকে তেহট্টে জীবানু নাশ করতে একটি স্প্রিংকলার গাড়ি ও একটি হ্য়ান্ড মেশিন পাঠাচ্ছে কলকাতা পুরসভা। জানা গিয়েছে, মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের নির্দেশে এই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। শনিবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "রবিবার সকালে তেহট্টে মেশিন দিয়ে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড স্প্রে করা হবে।" ইতিমধ্য়ে কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল ও রাস্তাঘাটে এই আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্য়বহার করে দূষণমুক্তের কাজ চলছে।
করোনা আক্রান্তের খবর প্রকাশ পেতেই শুক্রবার রাত থেকেই তেহট্টের সাধারণ মানুষের মুখে ওই বিষয় নিয়েই চর্চা চলতে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দা অসিত তেওয়ারী বলেন, "আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কোন ট্রেন, কোন গাড়িতে তাঁরা চেপেছে এ সমস্ত কিছু তদন্ত করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।" আর এক তেহট্টবাসী বিকাশ সরকার বলেন, "৫ জনের করোনা ধরা পড়েছে। আরও ৮ জনকে নিয়ে গিয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। আমরা চাই এই বাড়িতে যাঁরা যাঁরা এসেছিলেন প্রত্য়েকের শারীরিক পরীক্ষা করুক সরকার। তাহলে আমরা আশঙ্কা মুক্ত হতে পারব।"