SSC Case Verdict: এক সঙ্গে আট জন শিক্ষিকার চাকরি চলে যেতে বসেছে। ফলে থমকে যেতে বসেছে স্কুলের পঠনপাঠন। চিন্তায় স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা। এমনই ছবি ধরা পড়েছে বীরভূমের নলহাটি হাইস্কুল ফর গার্লসে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা ২৩০০ জন। ৪১ জন শিক্ষিকার শূন্য পদে কর্মরত ছিলেন ২২ জন। ফলে আগে থেকেই ১৯ জন শিক্ষিকা কম রয়েছে স্কুলে। তারপর নতুন করে আট জন শিক্ষিকা সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কাজ হারানোয় সমস্যায় পড়েছেন প্রধান শিক্ষিকা বিদিশা সিনহা।
তিনি বলেন, “পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সব ক্লাস নিতে হলে ৪১ জন শিক্ষিকার প্রয়োজন। কিন্তু সেই শিক্ষিকা নেই। ২০১৬ সালে আট জন শিক্ষিকা পেয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সম্ভবত তাঁদের হারাতে চলছি। যদি আট জনকে ছেড়ে দিতে হয় তাহলে শিক্ষিকার সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪ জনে। ফলে বিজ্ঞান বিভাগের কোনও ক্লাস নিতে পারব না। কলা বিভাগ চালানো সম্ভব হবে না। আমি স্কুলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সুপ্রিম রায়ে স্কুলের অগ্রগতি থমকে যাবে। তবে এখনও পর্যন্ত ডি আই অফিস থেকে এখনও কোনও কাগজ আসেনি। যতক্ষণ কাগজ না আসে ততদিন ওরা স্কুলে আসবে”।
আরও পড়ুন চাকরি বহাল রইল সোমার, তবুও সুপ্রিম রায়ে খুশি নন ক্যানসার আক্রান্ত শিক্ষিকা
তবে সুপ্রিম রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি আট শিক্ষিকা। শিক্ষিকাদের অবসর ঘরে তাঁরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। কেউ-ই কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। স্কুলের শোকের আবহাওয়া দেখা গিয়েছে। ছাত্রীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।