/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/07/cats-2025-09-07-20-21-00.jpg)
পরীক্ষা হলে চাকরিপ্রার্থীরা Photograph: (পার্থ পাল)
ন’বছর পর স্কুল সার্ভিস কমিনের পরীক্ষায় বসতে হল নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে পরীক্ষা হল তাতেও দুর্নীতির ফাঁকফোকর রেখে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ যোগ্য চাকরিহারা এক শিক্ষিকার।
বীরভূমের রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা শেষে এস এস সি পরীক্ষা নিয়ে নিজের অসহয়তা এবং সরকারের দুর্নীতি নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পায়েল দত্ত নামে এক পরিক্ষার্থী।
বছর নয়েক আগে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যোগ্য হিসাবে চাকরি পেয়েছিলেন রামপুরহাটের বাসিন্দা পায়েল দত্ত। তিনি মুর্শিদাবাদের ইন্দিরানি হাসনা মায়ানি হাইস্কুলে অঙ্কের শিক্ষিকা হিসাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন।
বছর ছয়েক চাকরি করার পর যোগ্য অযোগ্যদের ঠেলায় চাকরি হারান তিনি। এরপরেই শুরু করেন আন্দোলন। বাড়িতে স্বামী, ছেলেকে রেখে আন্দোলন জারি রেখেছিলেন আর পাঁচজনের সঙ্গে পায়েল দত্ত। রবিবার রামপুরহাট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে কালো পোশাক পরে এবং বুকে কালো ব্যাজ লাগিয়ে পুনরায় স্কুলে সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় বসতে হয় তাঁকে।
পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে নিজের ক্ষোভ, অসহয়তা সংবাদ মাধ্যমের কাছে তুলে ধরলেন তিনি। পায়েল বলেন, “এটা আমাদের কাছে কালো দিন। তাই কালো পোশাক পরে, কালো ব্যাজ পরে পরীক্ষা দিয়েছি। আমাদের বার্তা লড়াইয়ের ময়দান আমরা ছারিনি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই পরীক্ষায় বাধ্য হয়ে আমরা বসেছি। চাকরি ফেরানোর লড়াই এখনও আমাদের জারি আছে”।
তাঁর কোথায়, “খুব দুর্ভাগ্যজনক, যন্ত্রণাদায়ক এবং হতাশার। যে ছাত্রছাত্রীদের আমরা পড়িয়েছি তারা আজ আমার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বসেছে। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পালন করতে পারিনি। খুব যন্ত্রণা নিয়ে আমরা পরীক্ষা দিলাম”।
পরীক্ষার পদ্ধতিগত ত্রুটি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন পায়েল দত্ত। তিনি বলেন, “পরীক্ষাটা শুধুমাত্র বাহ্যিক আরম্ভর। সব থেকে ত্রুটি রয়েছে অ্যাডমিড কার্ডে পরিদর্শকের সাক্ষর করার কোন জায়গা নেই। ফলে আমি যে পরীক্ষা দিলাম তার কোন প্রমান থাকল না। এটা হাস্যকর। এখানে কোন চেয়ারম্যানের সাক্ষর নেই। কাস্ট ক্যাটাগরির উল্লেখ নেই। অন্য কোন সরকারি পরীক্ষায় এমনটা হয়েছে বলে আমার জানা নেই। ২০১৬ সালে এরা স্কুল সার্ভিস কমিশনে দুর্নীতি করেছে। এখন বাহ্যিক আরম্ভর দেখালেও এই নিয়োগ যে স্বচ্ছ হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আমাদের কোন আস্থা বা ভরসা এই কমিশনের প্রতি নেই”।
পায়েল বলেন, “অযোগ্যদের তালিকা জখন প্রকাশিত হয়েছে তখন যোগ্যদের কেন পরীক্ষায় বসতে হবে? তাছাড়া আমাদের নানান প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষায় বসার মতো মানসিকতা আর নেই। আমি আমার মতো পরীক্ষায় বসেছি। কিন্তু জানি না। কতটা সাফল্য পাব”।মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাঁর আবেদন, “বিরোধী দলনেতার প্রস্তাব মেনে নিয়ে বিধানসভায় বিল পাশ করে যোগ্যদের চাকরি ফিরিয়ে দিন। তা না হলে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে”।