SSC jobless teachers: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়েই বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন চাকরিহারা শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল, সুদীপ কোনাররা। থানায় এদিন ঘণ্টা দেড়েক ছিলেন তাঁরা। পরে থানা থেকে বিরেয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা অভিযোগ করে জানান, তাঁদের আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছে পুলিশ।
চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলন জারি সল্টলেকের বিকাশ ভবন চত্বরে। বৃহস্পতিবার চাকরিহারাদের বিকাশ ভবন অভিযান ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল। আগে থেকে এলাকায় ব্যারিকেড করে রেখেছিল পুলিশ। সেই ব্যারিকেড টপকে-ভেঙে বিকাশ ভবনের সামনে পৌঁছে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। ব্যাপক সংখ্যায় আন্দোলনকারীরা ভেঙে ফেলেছিলেন বিকাশ ভবনের গেট। বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী বিকাশ ভবনের ভেতরে ঢুকে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন।
ওই দিন রাত পর্যন্ত বিকাশ ভবনের ভেতরে আটকে পড়েছিলেন কর্মীরা। বিশাল পুলিশবাহিনী ব্যাপক লাঠিচার্জ করে ওই দিন রাতে বিকাশ ভবন থেকে চাকরিহারাদের বিক্ষোভ তুলে দেয়। চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর পুলিশের এই আচরণ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় বিভিন্ন মহলে। পরবর্তী সময়ে কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয় যে, একপ্রকার বাধ্য হয়েই পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ লাঠি চালিয়েছিল।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: 'সিঁদুর বারুদে পরিণত হলে কী হয় বিশ্ব তা দেখেছে', ফের পাকিস্তানকে চরম বার্তা মোদীর
এদিকে বিকাশ ভবনের বদলে সেন্ট্রাল পার্কে চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের পরামর্শ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে গতকাল আদালত জানিয়েছিল দুই চাকরিহারা শিক্ষককে থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে। তবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- Cyber fraud: প্রতারণার হাইটেক কৌশল! অজান্তেই সর্বসান্ত মহিলা, তদন্তে নেমে পুলিশেরও চোখ কপালে
উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার নির্ধারিত সময়ে বিধাননগর উত্তর থানায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং সুদীপ কোনাররা। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষক ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল বলেন, "আমাদের এই আন্দোলনকে ভাঙার চেষ্টা চলছে। মামলা মোকদ্দমা দিয়ে এই আন্দোলনকে কিছুতেই দমিয়ে রাখা যাবে না।"