এক 'মাথা' তো আগেই শ্রীঘরে। এবার 'কান' টেনে আরও 'মাথা'র হদিশ চায় ইডি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন ওএসডি সুকান্ত আচার্যকে আজই তলব করল ইডি। আজ সকালে তাঁকে ইডির সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের দফতরে ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারীরা। টালিগঞ্জের পর পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও মিলেছে টাকার পাহাড়। উদ্ধার মুঠো-মুঠো সোনা-রুপো। তারপরেই পার্থর প্রাক্তন ওএসডি-কে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার।
Advertisment
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটে গাড়ি-গাড়ি টাকা ও সোনা উদ্ধারের নেপথ্যে আরও বড় চাঁই রয়েছে বলে মনে করছেন দুঁদে ইডি অফিসাররা। পার্থ তো ইতিমধ্যেই গারদে ঢুকেছেন, এবার বাকি চাঁইদেরও গারদে ঢোকাতে আরও পাকা প্রমাণ হাতে চায় ইডি।
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে কাজ করার সুবাদে তাঁর ব্যাপারে অনেক কিছুই জানেন সুকান্ত আচার্য। এর আগেও তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির অফিসাররা। ইতিমধ্যেই সুকান্তর নিউ ব্যারাকপুরের বাড়িতে তল্লাশিও চালিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে সেকানে বিশেষ কিছুই মেলেনি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়দের সম্পর্কে এবার আরও একবার সুকান্তর কাছে বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় ইডি। সেই কারণেই তাঁকে আজই সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, পার্থ-ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে একটানা ১৮ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে কুবেরের ধনের খোঁজ পেয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।
ফ্ল্যাটের বেডরুম, শৌচাগারে মিলেছে ঝুড়ি-ঝুড়ি টাকা। কেজি-কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে। বিপুল পরিমাণ এই সম্পত্তি স্টেট ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়ার কলকাতার সদর দফতরের ভল্টে রাখছে ইডি।