অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় বেনজির পর্যবেক্ষণ কলকাত হাইকোর্টের। শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকারের অবস্থান আলাদা হওয়ায় প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। 'রাজ্য ও এসএসসি-র অবস্থান এক না হলে অবিলম্বে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক', শূন্যপদ মামলায় বেনজির পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। আগামিকাল সকালে সাড়ে ১০টার মধ্যে এই ইস্যুতে রাজ্যের জবাব তলব করেছে উচ্চ আদালত।
অতিরিক্ত শূন্যপদ মামলায় ঘোর অস্বস্কতি স্কুল সার্ভিস কমিশন কমিশন। অতিপরিক্ত শূন্যপদে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবস্থান আলাদা হওয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ কলকতা হাইকোর্ট। এদিন এই মামলায় বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, ''রাজ্য ও এসএসসির অবস্থান এক না হলে কমিশন ভেঙে দেওয়া হোক। শূন্যপদ নিয়ে রাজ্য ও এসএসসির অবস্থান আলাদা কেন?''
উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আদালতের নির্দেশ মেনে বঞ্চিতদেরই শূন্যপদগুলিতে নিয়োগ পাওয়ার কথা। কিন্তু স্কুল সার্ভিস কমিশন ওই শূন্যপদে অবৈধভাবে চাকরি পাওয়াদের পুর্বহালের জন্য আবেদন করেছে। এসএসসি-র এই আবেদনেই বেজায় চটেছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে আদালত আগামিকাল সকাল সড়ে ১০টার মধ্যে রাজ্য সরকারের জবাব তলব করেছে।
আরও পড়ুন- জোড়াফুল জব্দে ফের জোট লাল-গেরুয়ার, পঞ্চায়েতের আগে অস্বস্তি তুঙ্গে তৃণমূলে
চলতি বছরের ১৯ মে রাজ্য সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ৬,৮২১টি শূন্যপদ তৈরি করা হচ্ছে। এই পদগুলিতে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও শারীরশিক্ষা-কর্মশিক্ষার যোগ্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আদালতের নির্দেশ ও সবরকম নিয়ম মেনে নিয়োগ করা হবে। এই মর্মে রাজ্য সরকারই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ মূলত এই চারটি ক্ষেত্রে নিয়োগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে হলফমনামা দেয় এসএসসি।
সেই হলফনামায় বলা হয়, যে ব্যক্তিদের চাকরি আদালতের নির্দেশে চলে গিয়েছে তাঁদের পরিবারের কথা চিন্তা করে হাইকোর্ট তার রায় পুনর্বিবেচনা করুক ও এঁদেরকে পুনর্বহাল করার জন্য শূন্যপদে নিয়োগের অনুমতি দিক। এসএসসি-র তরফে আদালতে আরও যুক্তি দিয়ে বলা হয় চাকরি বাতিল হওয়া কারও বিরুদ্ধেই কার্যত কোনও অভিযোগ নেই। এদের পুনর্বহালের আবেদন জানায় কমিশন।
আরও পড়ুন- দক্ষিণেশ্বর যাত্রার অভিজ্ঞতা হবে আরও মধুর, অভাবনীয় পরিকল্পনা রাজ্যের
এসএসসির এই তৎপরতা প্রসঙ্গেই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর পর্যবেক্ষণ, ''যেখানে সরকার বলছে বঞ্চিত ও যোগ্য প্রার্থীদের জন্য এই শূন্যপদ। সেখানে এসএসসির যুক্তি হল চাকরি বাতিল হওয়া অবৈধভাবে চাকরি পাওয়াদের পুনর্বহাল করা। এই দুই অবস্থান কেন? এসএসসি কী সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই? যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে অবিলম্বে এসএসএসসি ভেঙে দেওয়া হোক।''