SSC Teachers Protest: মাত্র ৩৮ বছরেই আন্দোলনকারী শিক্ষকের অকালমৃত্যু, চাকরির অনিশ্চয়তায় অসুস্থ ছিলেন বলে দাবি পরিবারের
SSC Teachers Protest: ২৭ ডিসেম্বর থেকে ওয়াই চ্যানেলে টানা অবস্থান করছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরা। ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের মামলায় যোগ-অযোগ্য শিক্ষক যাতে চিহ্নিত হয় সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
SSC Teachers Protest: ২৭ ডিসেম্বর থেকে ওয়াই চ্যানেলে টানা অবস্থান করছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরা। ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের মামলায় যোগ-অযোগ্য শিক্ষক যাতে চিহ্নিত হয় সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন আন্দোলনকারীরা।
SSC Teachers Protest in Kolkata: যোগ্য শিক্ষকরা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইতে আন্দোলন করছেন ওয়াই চ্যানেলে। এক্সপ্রেস ফটো- শশী ঘোষ
SSC Teachers Protest: যোগ্য শিক্ষকরা অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইতে আন্দোলন করছেন ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে। তাঁদের দাবি, অযোগ্য শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হোক। অযোগ্য ভাবে নিয়োগ শিক্ষকদের পাপের বোঝা বইতে নারাজ আন্দোলনরত শিক্ষকরা। এদিকে এই আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক প্রশান্ত দাস বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। হাইসুগার, হাইপারটেনশন থাকলেও চাকরির অনিশ্চয়তাতেও তিনি ভুগছিলেন বলে দাবি করেছেন পরিবারের সদস্য ও আন্দোলনকারী শিক্ষকরা। ৩৮ বছরের শিক্ষকের অকালমৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরে খেজুরিতে। শোকাহত অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও।
Advertisment
যোগ্য শিক্ষকরা লাগাতার আন্দোলন শুরু করেছেন। সল্টলেকে বিকাশ ভবন অভিযান করেছেন, শহরের রাস্তায় মিছিল করেছেন। ধরনা চলছে ওয়াই চ্যানেলে। আন্দোলনকারী শিক্ষক প্রতাপ রায়চৌধুরী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "শিক্ষক প্রশান্ত দাসের হাইপারটেনশন ছিল। তাছাড়া চাকরির অনিশ্চয়তা, সবটা মিলে মানুষটা চলে গেলেন। আমাদের আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। ওয়াই চ্যানেলের অবস্থান বিক্ষোভে তিনি চার দিন ছিলেন, বিকাশ ভবন অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। শিয়ালদা থেকে মৌলালি মিছিলেও তিনি ছিলেন। ৮ তারিখ মারা গিয়েছেন।"
দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরদ্বীপের মহেন্দ্রগঞ্জ হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন প্রশান্ত দাস। তিনি ছিলেন কেমিস্ট্রির শিক্ষক। তাঁর পিসতুতো ভাই মানিক দাস ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "কলকাতায় ধরনায় ৪ দিন অংশ নিয়েছিলেন দাদা। ওর সুগার ছিল, হাইপারটেনশন ছিল। আগে একটা চাকরি করত। তারপর এটা পেয়েছিল। কলকাতায় চারদিন ধরনায় অংশ নিয়ে থেকে বাড়ি ফিরেছিল। তারপর অসুস্থ হয়ে পড়ে। টেনশনে থাকতেন। খুব সিরিয়াস ছিল।"
প্রশান্ত দাসের বাড়িতে রয়েছেন বাবা, মা, ভাই, স্ত্রী ও ১১ বছরের ছোট মেয়ে। ২০১৮-তে স্কুলে শিক্ষক হিসাবে জয়েন করেছিলেন প্রশান্ত। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির শ্যামপুর-জলপাই গ্রামে। এর আগে খড়্গপুরে চাকরি করতেন প্রশান্ত।
২৭ ডিসেম্বর থেকে ওয়াই চ্যানেলে টানা অবস্থান করছেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষকরা। ৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের মামলায় যোগ-অযোগ্য শিক্ষক যাতে চিহ্নিত হয় সেদিকে তাকিয়ে ছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেদিন সুপ্রিম কোর্ট ১৫ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে। এরই মধ্যে ৮ জানুয়ারি মৃত্যু হল শিক্ষক প্রশান্ত দাসের।