Mamata Banerjee On RG Kar Case Sealdah Court Verdict: 'বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ নয়', আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিকে আজ শিয়ালদা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য। আজ রায় ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলে একথা জানিয়েছেন।
এদিন দুপুরে শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস আরজি কর মামলায় সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রী এই রায় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "আমরা প্রথম দিন থেকে ফাঁসির দাবি করেছিলাম। এখনও তাই করছি। আদালতে রায় নিয়ে কিছু বলব না। আমরা তো তিনটি মামলায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করিয়ে দিয়েছি। এই মামলাও আমাদের হাতে থাকলে অনেক আগেই মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করিয়ে দিতাম। কিন্তু কেসটা আমাদের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছ। এই ধরনের নরপিশাচের চরমতম শাস্তি হওয়া উচিত। ফাঁসি হলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারতাম।"এর পর সন্ধ্যাতেই নিজের এক্স হ্যাণ্ডেলের এক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন আজকের রায়ের পর সঞ্জয়ের ফাঁসির দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে রাজ্য।
এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, আর.জি. করে জুনিয়র ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের মামলায়, আজ আদালতের রায় দেখে আমি সত্যিই স্তম্ভিত! আদালত এই ঘটনাকে বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলা নয় বলে উল্লেখ করেছে! আমি নিশ্চিত যে আরজি কর মামলা সত্যিই বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা, যেখানে দোষীর একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত মৃত্যুদণ্ড। আদালত কীভাবে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারে যে আর জি করের ঘটনা বিরলের মধ্যে বিরলতম মামলা নয়?! আমরা এই সবচেয়ে ভয়াবহ এবং সংবেদনশীল মামলায় দোষীর মৃত্যুদণ্ড চাই এবং একথা আমি জোর দিয়ে বলছি। সম্প্রতি, গত তিন চার মাসে, আমরা এই ধরণের অপরাধে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করেছি। তাহলে, কেন, এই ক্ষেত্রে, মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়নি? আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি যে এটি একটি জঘন্য অপরাধ যার এক মাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। আমরা হাইকোর্টে দোষীর মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করব"।
উল্লেখ্য আদালতের আজকের রায়ে হতাশ নির্যাতিতার মা-বাবা! ন্যায়বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জোরালো বার্তা দিয়েছেন তাঁরা। আরজি কর হাসপাতালের ধর্ষণ-হত্যা মামলায় মৃত চিকিৎসকের মা-বাবা আজকের আদালতের রায়ের পর বলেছেন, " আদালত দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের বদলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের যে রায় দিয়েছে তাতে আমরা কোনভাবেই সন্তুষ্ট নই" । অপরাধীকে আড়াল করা হয়েছে বলে দাবি করে তারা ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন। নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের মা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, "আদালতের এই রায়ে আমরা হতবাক। এটি কীভাবে বিরলতম ঘটনা নয় তা আমাদের জানা নেই। কর্তব্যরত একজন ডাক্তারকে হাসপাতালে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। এই অপরাধের পিছনে আরও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র ছিল”। অপরদিকে নির্যাতিতার বাবা জানান , "এই মামলায় বাকি সকল অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা তাদের লড়াই চালিয়ে যাবেন" ।