Advertisment

রাস্তা ইস্যুতে মৌন অবস্থানে বিশ্বভারতীর উপাচার্য, তাঁকে ঘিরে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ

বিতর্কের এখানেই শেষ নয়, উপাচার্য ও অনুপম হাজরার নামে পোস্টার ও বিজেপির পতাকায় ছয়লাপ হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক ডঃ বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

রাস্তা ইস্যুতে বিশ্বভারতী-রাজ্য সরকার সংঘাত তুঙ্গে। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাতিমতলায় রাস্তা ইস্যুতে শনিবার মৌন অবস্থানে বসেছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। কিন্তু যার জেরে প্রবল পড়ুয়া বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উপাচার্য। ভিসি গো ব্যাক স্লোগান উঠল বিশ্বভারতী চত্বরে। বিতর্কের এখানেই শেষ নয়, উপাচার্য ও অনুপম হাজরার নামে পোস্টার ও বিজেপির পতাকায় ছয়লাপ হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। যদিও এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। কিন্তু ফের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু বিশ্বভারতী।

Advertisment

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শান্তিনিকেতন থেকে শ্রীনিকেতন যাওয়া রাস্তা বিশ্বভারতীর কাছে থেকে ফেরত নেয় রাজ্য সরকার। আবাসিকদের চিঠি পেয়ে পূর্ত দফতরকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী, রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার মৌন অবস্থানে বসেন উপাচার্য-সহ বিশ্বভারতীর বেশ কয়েকজন অধ্যাপক। তখন বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। ছাতিমতলায় ঢুকতে গেলে তাঁদের বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপর শুরু হয় দুপক্ষের ধস্তাধস্তি। পড়ুয়া বিক্ষোভে উত্তাল হয় এলাকা।

আরও পড়ুন Exclusive: ‘রাজনীতির অঙ্গনে রবীন্দ্রনাথ যেন পণ্য’, অকপট উপাচার্য

বাধা পেয় মাটিতে বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের গলায় ছিল কবিগুরুর লেখা 'বাঁধ ভেঙে দাও' গানের সুর। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আর্জি লেখা পোস্টার নিয়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। হিন্দুত্ববাদী আগ্রাসন দিয়ে বিশ্বভারতীর সংস্কৃতি ধ্বংস করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন পড়ুয়ারা। এরপর ছাতিমতলা থেকে উপাচার্যের বেরনোর রাস্তা তাঁরা অবরোধ করেন। বাধ্য হয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরতে হয় বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বাকিদের। রাস্তা ইস্যুতে রাজ্যের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মৌন অবস্থানে বসে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা বোধহয় আশা করেননি উপাচার্য-সহ বাকি অধ্যাপক-শিক্ষাকর্মীরা।

bjp visva bharati Bidyut Chakraborty
Advertisment