মালদহে শুভেন্দু অধিকারীর সভায় সরকারি আবাস যোজনার ফর্ম জমার হিড়িক। ভোটার-আধার কার্ড-সহ প্রয়োজনীয় নথি হাতে উপচে পড়া ভিড় গ্রামবাসীদের। শুভেন্দুর সভায় আবাস যোজনার ফর্ম জমা দিলে সুবিধা মিলতে পারে বলে প্রচার করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এদিন বিরোধী দলনেতা সভামঞ্চ ছেড়ে চলে যাওয়ার পরেও ফর্ম জমা দিতে লম্বা লাইন চোখে পড়েছে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। আপাতমস্তক রাজনৈতিক একটি সভায় কীভাবে সরকারি প্রকল্পের ফর্ম জমা দেওয়া যায়? তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
আবাস যোজনার দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসার পর এবার নয়া বিতর্ক। রাজনৈতিক দলের সভায় সরকারি আবাস যোজনার ফর্ম জমার হিড়িক। মঙ্গলবার মালদহে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সভা করেছেন। সেই সভাতেই আবাস যোজনার ঘর পেতে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ফর্ম জমা দেওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। সভায় আসা গ্রামবাসীদরে হাত থেকে সেই ফর্ম সংগ্রহ করে নেন বিজেপি নেতারাই। এমনকী সেই ফর্ম পূরণে সাহায্যও করতে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেতা-কর্মীদের।
আরও পড়ুন- বঙ্গ সফরে মন নেই মোদী-শাহ-নাড্ডাদের? হঠাৎ স্থগিত তিন নেতার কর্মসূচি
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সভা শুরুর আগে থেকেই আবাস যেজানায় বাড়ি পাওয়ার ফর্ম হাতে ভিড় জমতে শুরু করে। সভাস্থলের আশেপাশের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা আবাস যোজনার ফর্ম ও সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে হাজির হয়ে যান। সভামঞ্চের পাশে ফর্ম পূরণেও ভিড় জমে যায়। এদিন নিজেদের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, জমির দলিল, ছবি-সহ প্রয়োজনীয় সব নথি নিয়ে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ করেন গ্রামবাসীরা।
আরও পড়ুন- সরকারি আধিকারিকদের পেনশন আটকানোর হুমকি, BJP নেতার হুঁশিয়ারিতে হইচই
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, শুধুমাত্র বিজেপি সমর্থক হওয়ার কারণেই যোগ্য হলেও বহু দুঃস্থ পরিবারের নাম সরকারি আবাস যোজনার তালিকায় ওঠেনি। এদিন বঞ্চিত বহু মানুষ বাড়ি পাওয়ার আশায় বুক বেঁধে ফর্ম জমা দিয়েছেন। কিন্তু, রাজনৈতিক দলের সভায় এভাবে আবাস যোজনার ফর্ম পূরণ বা আবেদনপত্র জমা নেওয়ার প্রক্রিয়া কেন? এ নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। উঠেছে প্রশ্ন।