কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে রাজ্যের পাওনা টাকা চাইলেন বাংলার পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। একইসঙ্গে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে পঞ্চায়েত দফতর কী ধরনের কাজ করছে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সে কথাও জানান সুব্রত। তাছাড়া এখন কাজের ক্ষেত্রে কী সমস্যা হচ্ছে তাও আলোচনা হয়েছে এই বৈঠকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, "নারেগাতে রাজ্যের পাওনা ১৭,৫৬৮ কোটি টাকা চেয়েছি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে। এই সময় পঞ্চায়েত দফতর নানা ধরনের কাজ করছে। সেই সব কাজ-কর্ম মন্ত্রীকে অবগত করেছি। তাঁকে জানালাম, আমরা করোনা মোকাবিলায় মাস্ক, স্যানিটাইজার তৈরি করছি। মানুষের কাছে খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। তাছাড়া সামাজিক দূরত্ব মেনে নারেগার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।"
আরও পড়ুন- ডিএ বৃদ্ধি আটকানো সরকারের ‘অসংবেদনশীলতা, অমানবিকতার’ প্রকাশ, কেন্দ্রকে তোপ রাহুলের
করোনা মোকাবিলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। এই দফতরের অধীন কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (সিএডিসি) কলকাতার বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে চাল, ডাল, শাক-সবজি, মুড়ি, এমনকী মাছ-মাংসও। কর্পোরেশনের কর্তা সৌম্যজিৎ বসু বলেন, "এই সংস্থা ১৭টা সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। শহরের বরিষ্ঠ নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য-সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে। ২৩ মার্চ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে ২২ লক্ষ টাকা বিক্রি হয়েছে। আমাদের এই সংস্থা তৈরি করছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীদের এসব সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।" পঞ্চায়েত দফতর জানিয়েছে, গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন উপজাতীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার প্রদান করা হচ্ছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন