১৩ই জুন পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নের সংখ্যা ছিল ৯৩২৮টি। আর এর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই সেই সংখ্যায় ম্যাজিক। ১৪ জুন শেষে তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৯৪৯১-তে। এবার মনোনয়নের জন্য প্রত্যেকদিন বরাদ্দ ছিল মাত্র ৪ ঘন্টা করে। কীভাবে ১৪ জুন মাত্র চার ঘন্টায় ৪৯৪৯১ জন প্রার্থীর মনোনয়ন সম্ভব হল? তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পরিসংখ্যান পেশ করে তাঁর দাবি, এক্ষেত্রে মনোনয়নে একজন প্রার্থীর সময় লেগেছে ২ মিনিট করে। তাহলে মাত্র ৪ ঘন্টায় কীভাবে শাসক দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিলেন?
কী লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার?
'পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়নের সময়, মাত্র ৪ ঘন্টায় ৮০ হাজারেরও বেশি লোক তাঁদের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অর্থাৎ একজন ব্যক্তির মনোনয়নের গড় সময় 2 মিনিট। এটি দেখায় যে রাজ্য সরকার সন্দেহজনক কিছু করেছে, যা গণতন্ত্রের উপহাস।'
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে শুরু থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী দলগুলো। পরিসংখ্যান পেশ করে দেখা হয় যে, মনোনয়নের জন্য একজন প্রার্থী পিছু মাত্র ৩৯ সেকেন্ড সময় বরাদ্দ করেছে কমিশন। মনোনয়নের সময়সীমা বাড়াতে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও করেছিলেন অধীর চৌধুরী ও শুভেন্দু অধিকারী। তবে বিষয়টি কমিশনের উপরই ছেড়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। কমিশন সময়সীমা বাড়ায়নি।
আরও পড়ুন- ভাঙড়ে অশান্তি: রাজ্যপাল মমতা কথা! কী বললেন সি ভি আনন্দ বোস?
অর্থাৎ মনোনয়েনর জন্য বরাদ্দ ছিল প্রত্যেকদিন চার ঘন্টা করেই। রাজ্য বিজেপি সভাপতির প্রশ্ন, মাত্র চার ঘন্টায় কীভাবে ৪০ হাজার প্রার্থীর মনোনয়ন সম্ভব হল? যা অঙ্কের হিসাবে অসম্ভব।
বিরোধীর সন্দেহ ছিল যে, সন্দেহজনক কিছু করে তৃণমূল শেষ দু'দিন তাদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা করাবে। সুকান্ত মজুমদারের অনুমান, সেই কাজই কমিশনের মদতে করেছে শাসক শিবির। যা আদতে বিরোধীদের ঠেকানোর কৌশল।