/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/Mamata-Banerjee-Sukanta-Majumdar.jpg)
ফের সুকান্তর নিশানায় মমতা।
তীব্র গরমের জেরে স্কুলে ছুটি নিয়েও রাজ্যকে নিশানা বিজেপির। বেসরকারি স্কুলগুলিতে অনলাইন ক্লাসের বন্দোবস্ত করা গেলেও সরকারি স্কুলে এব্যবস্থা কেন করা যাচ্ছে না? এই প্রশ্ন তুলেই এবার রাজ্যের বিরুদ্ধে নয়া চক্রান্তের অভিযোগ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
টুইটে সুকান্ত মজুমদার লিখেছেন, ''গরমের ছুটি যেন আরামের না হয়! বেসরকারি স্কুলে অনলাইন বা মর্নিং ক্লাস হলে সরকার পারবে না কেন? বাংলার আগামী প্রজন্মকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেবেন না। ছাত্রছাত্রীদের বলব, বাড়িতে লেখাপড়া যেন বন্ধ না হয়। অভিভাবকরা নজর রাখুন। না হলে, বড্ড ক্ষতি হয়ে যাবে। রাষ্ট্রবাদী শিক্ষকরা যতটা এবং যেভাবে সম্ভব পড়ুয়াদের পাশে থাকুন। ছুটি কোনও সমাধান নয়, ক্ষতিকারক সংস্কৃতি।''
গরমের ছুটি যেন আরামের না হয়! বেসরকারি স্কুলে অনলাইন বা মর্নিং ক্লাস হলে সরকার পারবে না কেন? বাংলার আগামী প্রজন্মকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত সফল হতে দেবেন না।
— Dr. Sukanta Majumdar (@DrSukantaBJP) April 17, 2023
উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গ-জুড়ে টানা চলছে তাপপ্রবাহ। এই পর্বে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। শুধু দক্ষিণবঙ্গই নয়, উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলা ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। রাজ্যের ১৫ জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। কোনও কোনও জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির গণ্ডিও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন- চাকরি ‘বিক্রি’ চক্রে যুক্ত আরও ৮-১০ বিধায়ক? জীবনকৃষ্ণ সাহাকে জেরায় বিস্ফোরক তথ্য!
এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের শারীরিক পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আজ সোমবার থেকেই ছুটি ঘোষণা করে দেয় রাজ্য সরকার। সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো আজ থেকেই স্কুল-কলেজ এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন- এখানেতেই প্রাণের সুখ, মনের আরাম! পাহাড় কোলের অপূর্ব এগাঁয়ে হদয় বাঁধা পড়বেই!
তবে বেসরকারি স্কুলগুলিতে অনলাইনের মাধ্যমে লেখাপড়া চালু রয়েছে। যদিও অধিকাংশ সরকারি স্কুলেই সেই ব্যবস্থা করা যায়নি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, বাংলার আগামী প্রজন্মকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার।