'উনি তো বলেছেন দরকারে ফাঁসির মঞ্চে চলে যাবেন, ওঁর এসব রক্ষাকবচের কোনও দরকার নেই, উনি বীরপুঙ্গব।' বীরভূমে দলের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে এভাবেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উল্লেখ্য, শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদে সিবিআইয়ের কোনও বাধা নেই। শুক্রবার মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
প্রসঙ্গত শনিবার দলের একটি প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে তারাপীঠে। সেই শিবিরে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই তারাপীঠে পৌঁছে যান সুকান্ত মজুমদার। তার আগে সন্ধেয় ময়ূরেশ্বর থানার কল্লেশ্বর শিব মন্দিরে পুজো দেন তিনি। শনিবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার পুজো দেওয়ার কথা সুকান্তর। তার আগে শুক্রবার সন্ধেয় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যকে তুলোধোনা করেন সুকান্ত। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়ে আক্রমণকে তিনি সমর্থন করেন না বলেই এদিন স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, "আমরা কোনও হিংসাকে সমর্থন করি না। সেটা যার উপরে হোক না কেন। এর একটা সমাধানের রাস্তা খোঁজা উচিত। রাজ্য সরকারের উচিত সহৃদয় হয়ে কুড়মিদের সঙ্গে আলোচনায় বসা।" অন্যদিকে ব্যারাকপুরে শুটআউট কাণ্ডে সাংসদ অর্জুন সিংহের বেসুরো মন্তব্য নিয়েও নিজের মত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন- আজও ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলায়-জেলায়, কাল থেকে আরও বদল আবহাওয়ায়!
এপ্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, "সময় আছে। অপেক্ষা করুন। আরও সুর বেসুরো হয়ে যাবে যারা এখন সুরে গাইছেন। যত দিন যাবে বেসুরো হবে। কারণ পুরো জিনিসটাই তো ডামাডোল চলছে এখন। শেষ মুহূর্তে তৃণমূলে মুষল পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু বেসুরো হচ্ছে। এরপর মুষল দিয়ে হবে। দলের সাংসদরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, এটা সরকারের ব্যর্থতা"।
এরই পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদন নাকচ প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, "ওঁর তো রক্ষাকবচ প্রয়োজন নেই। উনি তো নিজেই বলেছেন দরকারে ফাঁসির মঞ্চে চলে যাবেন। উনি বীরপুঙ্গব"।
আরও পড়ুন- টাকার টোপে পাচার, ফিল্মি কায়দায় নাটকীয় হানা পুলিশের! শেষমেশ ঘরের মেয়ে ঘরে
তবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের সুর ধরা পড়েছে সুকান্ত মজুমদারের গলায়। তিনি বলেন, "বিস্ফোরণের উপর বসে আছে রাজ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে বহু বাড়ি ভেঙে পড়বে। বহু মানুষের মৃত্যু হবে। আর এই পুলিশ দিয়ে কোনওভাবেই শান্তিতে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে না। কারণ, পুলিশের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে এই সরকার। শাসকদলের ছোট-বড়-মাঝারি সব নেতা পুলিশকে বাড়ির চাকর-বাকর মনে করেন। ফলে এই পুলিশ দিয়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।"