Sukanta Majumdar: একুশের বিধানসভা ভোট, তেইশের পঞ্চায়েত ভোট এবং এবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। পর পর তিনটি নির্বাচনে রাজ্যে ধরাশায়ী বিজেপি। এত লম্ফঝম্ফ, এত শক্তি প্রদর্শনের পরও কাঙ্খিত ফল না পেয়ে দলের অন্দরেই একে অপরকে দোষারোপ শুরু হয়েছে। দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ-রা তো অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব তুলে ধরছেন প্রকাশ্যে। সেই আবহেই এবার দলীয় বৈঠকে বড় বার্তা দিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর দাবি, 'সিবিআইকে দিয়ে গ্রেফতার করে নিতে বলুন, আমরা জিতে যাব, সেটা আর হবে না।'
লোকসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতার মুখে সিবিআই-ইডি দিয়ে গ্রেফতারির কথা শোনা যেত। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনে তৃণমূলকে শায়েস্তা করার কথা, কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হুঁশিয়ারি শোনা যেত। এত কিছুর পরেও লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। ১৮ থেকে কমে আসন হয়েছে ১২। খোদ রাজ্য সভাপতিই কোনওরকমে জিতে মানরক্ষা করেছেন। তার উপর কয়েকদিন আগে চারটি বিধানসভার উপনির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। তিনটি জেতা আসন হারিয়েছে পদ্মশিবির। তাই এখন উল্টো সুর রাজ্য নেতৃত্বের মুখে।
কী বলেছেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)
কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বাহিনী দিয়ে হুঁশিয়ারি দেওয়া ব্যুমেরাং হয়েছে বলে দলের অন্দরেই সুর উঠছে। এই পরিস্থিতিতে দলীয় বৈঠকে সুকান্ত নিজেই বার্তা দিলেন। সাফ জানালেন, 'ওপার থেকে দাদা সিবিআইকে বলুন একে অ্যারেস্ট করে নিতে, সঙ্গে সঙ্গে আমরা জিতে যাব, হবে না। ওকে জেলে ঢুকিয়ে দিন দাদা, জিতে যাব, হবে না।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও বলেন, "অনুব্রত মণ্ডল জেলে ছিল না, এখন আছে কি না জেলে? কিন্তু বীরভূমে কি জিতেছি আমরা? কঠোর পরিশ্রম করে সংগঠন যদি তৈরি করতে পারেন, তাহলে জিতবেন। পরিশ্রম করে সংগঠন তৈরি করতে যদি না পারেন, যে যাকে ইচ্ছে অ্যারেস্ট করুক, কোনও দিন জিততে পারবেন না।'
আরও পড়ুন Suvendu Adhikari: ‘তৃণমূলের প্রতীকে পারফিউম ঢালা হয়’, সাংঘাতিক অভিযোগ শুভেন্দুর
সুকান্ত মজুমদারের এই মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তাহলে কি কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বাহিনী নিয়ে দলেরই কোনও নেতাকে বার্তা দিলেন রাজ্য সভাপতি? কারও নাম না নিলেও অনেক বিদগ্ধ রাজনীতিবিদের অনুমান, সুকান্তর তির শুভেন্দু অধিকারীর দিকে। বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকে পঞ্চায়েত. লোকসভা এবং এবার বিধানসভা উপনির্বাচন হয়ে গেল। পদ্মশিবির সাফল্য এনে দিতে পারেননি শুভেন্দু। সুকান্তর সংগঠন বার্তার মধ্যে কোথাও যেন দলীয় নেতা-কর্মীদের জাগিয়ে তোলার ইঙ্গিত রয়েছে। আর বছর দুয়েক পরেই ছাব্বিশে বিধানসভা নির্বাচন। কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং বাহিনীর উপর অতি নির্ভরতা ফের ভরাডুবি করাতে পারে বলে আশঙ্কা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।