এর আগেও এক ফ্রেমে ছবি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। সে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া নীরব মোদীই হোক বা নকল করোনা ভ্যাকসিন-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া দেবাঞ্জন দেব। বিতর্কে জড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম-সহ অনেকেই। মন্ত্রী নেতাদের সঙ্গে ছবি নিয়ে হইচই যেন লেগেই থাকে। এবার সংসদ হানায় নাম জড়ানো ললিত ঝায়ের সঙ্গে একফ্রেমে দেখা গেল বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক তাপস রায়কে। এক্স হ্যান্ডেলে তাপস রায়ের সঙ্গে ললিতের ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও তাকে (ললিত ঝা) নামে বা চেহারায় চেনেন না-বলেই জানিয়ে দিয়েছেন বরানগরের তৃণমূল বিধায়ক।
তাপস রায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'টুইট করে কিছু হবে না। আমার সঙ্গে সম্পর্ক, ওয়েল অ্যাসোসিয়েট- এগুলো না-বলে কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক এজেন্সি আছে, তদন্ত করে প্রমাণ করুক। সিবিআই, এসএসবি, এসআইবি, সেন্ট্রাল আইবি, এনআইএ আছে। তারা রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থারও সাহায্য নিতে পারে। প্রমাণ করলে সাজা। বের করুক সংযোগ, ঘনিষ্ঠতা। খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। রাজনীতি থেকে সরে যাব। সুকান্ত কী করবে? এসব গম্ভীর ব্যাপার নিয়ে ছ্যাবলামো হচ্ছে? ফাজলামো হচ্ছে? বালখিল্লপনা! আমরা পাবলিক লাইফে আছি। অনেকেই ছবি তোলে। শুনলাম, এটা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ছবি। প্রায় ৪ বছর আগে। আজ হোক কাল হোক, ওই ছেলেটিকে গ্রেফতার করবে। আমি তাকে নামে, চেহারায় চিনি না, জানি না।'
সুকান্ত মজুমদারকে 'অল্পবয়স', 'ম্যাচিউরিটি কম' বলে কটাক্ষ করেছেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা। তাঁর বক্তব্য, 'বিজেপির পাড়ার ছেলে বা অঞ্চলের ছেলে বললে বুঝতাম। বিজেপির একজন সাংসদ। তাছাড়া রাজ্য বিজেপির সভাপতি। ছ্যাবলামি করছে? মোদীজির সঙ্গে অনেকের ছবি দেখা গিয়েছে। আমি অন্তত এগুলি নিয়ে কিছু বলি না। ভবিষ্যতেও বলব না।'
আরও পড়ুন- সংসদে স্মোক ক্যান হামলা: মাস্টারমাইন্ড ললিতের সঙ্গে তৃণমূল যোগ! চাঞ্চল্যকর দাবি সুকান্তর
মন্ত্রী থেকে সাংসদ, বিধায়ক থেকে কাউন্সিলর বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অনেক সময় ছবি অজান্তে ওঠে। কোনও সময় জেনে-বুঝে ওঠে। নেতৃত্ব হয়তো জানেন না। কিন্তু, দলের কেউ জানতেও পারেন। এই ছবি বিতর্ক পিছু ছাড়েনি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের কয়লা কারবারির সঙ্গে একমঞ্চে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সেই ছবি বিতর্ক এখনও তাড়িয়ে বেড়ায় সিপিএমকে। বিজেপি ও তৃণমূলের তো নানা ক্ষেত্রে এই বিতর্ক চর্চা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাপস রায় বলেন, 'কার কী মতলব জানি না। বিয়ে বাড়ি বা যে কোনও পাবলিক অনুষ্ঠানে ছবি ওঠে। মোবাইল আসায় ছবি তোলা বেড়ে গিয়েছে। আমার সঙ্গে রোজই কেউ না-কেউ ছবি তুলছে। কী করব? জনজীবনে ৫২ বছর আছি।'