সুপ্রিম কোর্টে বিরাট ধাক্কা অপাসারিত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। মানিককে ইডির গ্রেফতারি বৈধ বলে জানিয়ে দিল শীর্ষ আদালত। একইসঙ্গে ইডির গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ করে মানিক ভট্টাচার্যের করা মামলাও এদিন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ইডির মানিক গ্রেফতারিতে কোনও ভুল নেই, এদিন মামলার শুনানিতে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এবার সুপ্রিম কোর্টে বড়সড় ধাক্কা প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। বঙ্গে প্রাথমিকে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় বাংলা। তদন্তে নেমে ইডি গ্রেফতার করেছে মানিক ভট্টাচার্যকে। ইডির এই গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন মানিক। তবে আদালতের নির্দেশ স্বস্তি মিলল না মানিকের।
যদিও সিবিআই তদন্তের ক্ষেত্রে আগেই রক্ষাকবচ পেয়েছেন মানিক। সিবিআই মামলার তদন্ত করলেও এখনই মানিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কঠিন পদক্ষেপ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে আদালত। যদিও আজ ইডির গ্রেফতারি বৈধ বলে জানানোয় এবার আরও চাপে পড়লেন প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি। এবার তাঁর বিরুদ্ধে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থাই তদন্তের গতি আরও বাড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- ‘টাটা বিদায় নিয়ে মন্তব্য মমতার সেরা জোকস, এতে প্রায়শ্চিত্ত হবে না’, আক্রমণ দিলীপের
ইডির গ্রেফতারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। যদিও তাঁর সেই আবেদন ধোপে টেকেনি। বরং শীর্ষ আদালতের নির্দেশে আপাতত ইডির হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মানিককে। প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে তদন্তে নেমে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্তর অনিয়ম প্রকাশ্যে আসে।
শুধু তাই নয়, মানিকের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েও চোখ কপালে ওঠার মতো তথ্য পায় ইডি। চাকরিপ্রার্থীদের নামের 'তালিকা' উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও মানিক ভট্টাচার্যের একাধিক আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। সুপ্রিম কোর্টে এই সব তথ্য আগেই দিয়েছে ইডি।