SSC Recruitment Verdict: একসঙ্গে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল বলে রায়দান করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। শেষ পর্যন্ত মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় সেই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। মামলার শুনানি এবার সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ জোর চর্চায়। তাঁর কথায়, "ডাল মে কালা ইয়া সব কুছ হি কালা।"
SSC-র চাকরি বাতিল মামলায় আজ সকাল থেকেই নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। বেলা সাড়ে দশটার পর প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছেন, যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কোন কোন ওএমআর শিটের তথ্য সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে তা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দুপুর দু'টোর মধ্যে আদালতে জানাতে হবে।
দুপুর দু'টোর ফের শুরু হয় শুনানি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, "অযোগ্যদের খুঁজে বের না করে সুপার নিউমেরারি পোস্ট তৈরি করেছেন। ঠিক ওই সময়ে কেন এই কাজ করতে হল? এটাই নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন যে অযোগ্যদের কাউকেই বাদ দেওয়া হবে না?" ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতির এই প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের আইনজীবীকে বেশ হতভম্ব হতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Verdict: যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব, চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জানাল SSC
আরও পড়ুন- SSC Recruitment Verdict: যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব, চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে জানাল SSC
প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না আরও বলেন, "নম্বরে কারচুপির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।" নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়মের কথা স্বীকার করে নেয় এসএসসি। সুপ্রিম কোর্টে এদিন এসএসসির আইনজীবী বলেন, "২৬ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু অনিয়ম হয়েছে। গোটা প্রক্রিয়ায় হয়নি। ধাপে ধাপে পরীক্ষা হয়েছে। তাই সব ওএমআর (OMR) শিট সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব হয়নি।" তবে এসএসসির আইনজীবীর ব্যাখ্যায় একেবারেই সন্তুষ্ট হননি প্রধান বিচারপতি। পাল্টা তিনি এদিন বলেন, "নিজেদের হাতে তথ্য না রেখে অন্যের হাতে তুলে দিলেন? কীভাবে এই কাজ আপনারা করতে পারলেন?"
আরও পড়ুন- Weekend getaways: কলকাতার কাছেই অনিন্দ্যসুন্দর এক নদী পাড়! 'সেরার সেরা' উইকেন্ড ট্রিপের দুরন্ত অভিজ্ঞতা নিন
শীর্ষ আদালতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী এদিন বলেন, "দেশে এমন কোনও রাজ্য নেই যেখানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতা আসেনি। তবে এক্ষেত্রে আমরা এটাকে উৎসাহ দিচ্ছি না।" মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীর এই মন্তব্যের পরেই প্রধান বিচারপতি বলে ওঠেন, "ডাল মে কালা ইয়া সব কুছ হি কালা।"