/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/03/2RvAMEdahWAwLFdTy29W.jpg)
SSC Verdict News Update: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই স্কুলের ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে।
SSC Verdict News Update: বৃহস্পতিবারও আর পাঁচটা দিনের মতোই তাঁরা স্কুলে এসেছিলেন। সবে স্কুল তখন শুরুর পথে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে স্কুল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন একসঙ্গে ১১ শিক্ষক-শিক্ষিকা। এদের প্রত্যেকেরই চাকরি চলে গিয়েছে। এঁরা সবাই ২০১৬ সালে SSC-র প্যানেলভুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি-র গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। একসঙ্গে চাকরি হারিয়েচেন রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কুলতলির জামতলা ভগবান চন্দ্র হাই স্কুল। এই স্কুলেরই ১১ শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গেছে। চাকরিহারাদের অধিকাংশই অঙ্ক ও বিজ্ঞানের শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁদের উপর ভরসা করেই স্কুলে গত ৩ বছর ধরে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চলছিল। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসেও অঙ্ক ও বিজ্ঞান পড়াতেন এই ১১ জন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি গিয়েছে।
সহকর্মীদের এভাবে চাকরি চলে যাওয়ায় হতাশ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শান্তনু ঘোষাল। তিনিও ভেঙে পড়েছেন। তাঁর কথায়,"২০১৬ সালের প্যানেলনভুক্ত ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন আমাদের স্কুলে। সুপ্রিম কোর্টের রায় সম্পর্কে কিছু বলার নেই। আমরা জানি না আগামীদিনে কীভাবে স্কুল চালাব? এই ১১ জন শিক্ষকই অত্যন্ত যোগ্য ছিলেন। এঁদের অধিকাংশই বিজ্ঞান ও অঙ্কের শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের উপর ভরসা করেই গত ৩ বছর ধরে স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান বিভাগ চলছে। আমাদের স্কুলের রেজাল্টও ভালো হচ্ছে। তাঁরা অত্যন্ত দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা। এটা সুন্দরবনের একটা গ্রামীণ স্কুল। এই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভরসাতেই এতদিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে স্কুল চলচিল। এই ১১ জনের চাকরি চলে যাওয়াটা আমাদের কাছে বড় ক্ষতি।"
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। চাকরি বাতিল হওয়া 'অযোগ্য'দের বেতনের টাকাও ফেরত দিতে হবে। রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তবে যাঁরা অন্য সরকারি দফতর থেকে এসএসসি-র শিক্ষকতা বা শিক্ষাকর্মীর পদে চাকরিতে এসেছিলেন, তাঁরা চাইলে তাঁদের পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে এই প্রক্রিয়াও আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ করে ফেলতে হবে বলে স্পষ্ট করেছে সর্বোচ্চ আদালত।