বর্ধমানের পর এবার হাওড়ায় বিষমদের বলি একাধিক মানুষ। হাওড়ার ঘুসুড়ির পঞ্চাননতলার ঘটনা। মালিপাঁচঘড়া থানা থেকে ঢিলছোঁড়া দুরত্বে গজানন বস্তির ঘটনা। বস্তির ভেতরের একটি বেআইনি মদের দোকানের বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে বিষমদ খেয়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও অনেকে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Advertisment
কীভাবে থানার ২০০ মিটার দূরত্বে এই বেআইনি মদের ঠেক এতদিন ধরে চালু রইল তাই নিয়েও স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশ্ন তুলেছেন। মদের দোকানের মালিক প্রতাপ কর্মকারকে ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে বিশদে জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ টি এল জয়সোওয়াল হাসপাতালে ও হাওড়া জেলা হাসপাতালে আশংকাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন একাধিক মানুষের মৃত্যুর জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। বিশেষ করে মহিলারা চড়াও হন ওই মদের ঠেকে। চলে ভাঙচুর।
স্থানীয় বাসিন্দা সুনীল সিং বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরেই ওখানে চোলাই মদের ঠেক চলছে। পুলিশের নাকের ডগায় বেআইনি কাজ হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশের মদতেই চলত এই মদের ঠেক।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাত থেকে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাওড়ার রপুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টির তদন্ত চলছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই পরিষ্কার হবে। এদিন উত্তেজনার জেরে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। আবগারি দফতরও বিষ মদের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে। ঘটনাস্থলে যায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল।