Suti Violence : জঙ্গিপুরের অশান্তির রেশ এখনও কাটেনি, ফের নতুন করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি ও সামশেরগঞ্জ ব্লক। দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে পরিস্থিতি রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এদিন বিকেলে ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে সুতি থানার সাজুরমোড়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। পুড়িয়ে দেওয়া হয় পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়ি। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে দেন পথচলতি মানুষজন।
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে ধুন্ধুমার। মুর্শিদাবাদের সুতিতে চরম উত্তেজনা। পুলিশের গাড়িতে আগুন-ভাঙচুর। পাশাপাশি দেদার ভাংচুরের ঘটনা ঘটে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ঘটনার জেরে আটকে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন। থমকে যায় উত্তরবঙ্গগামী বাস পরিষেবাও। চরম বিপাকে পড়তে হয় যাত্রীদের। আজকের এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী। পাশাপাশি আন্দোলনের রেশ গিয়ে পড়ে সামশেরগঞ্জ ব্লকের নতুন ডাকবাংলো মোড়েও। সেখানেও দফায় দফায় চলে অবরোধ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়েছে। পাশাপাশি বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেলও ছোঁড়ে পুলিশ।
ওয়াকফ (সংশোধিত) আইনের বিরোধিতায় অশান্ত মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকা। ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে দেশ জুড়ে তৈরি হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এর মধ্যেই মঙ্গলবার বিকেলে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার ওমরপুরে ওয়াকফ সংশোধনী আইন প্রত্যাহারের মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিস ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ওমরপুর এবং সংলগ্ন এলাকা মুহূর্তের মধ্যে রনক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও।
সেই ঘটনার আতঙ্ক এখনও কাটেনি তার মাঝেই নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ল জঙ্গিপুর মহকুমার সুতি ও সামশেরগঞ্জ ব্লকে। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। ওয়াকফ-বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভে উত্তাল রাজ্য। মুর্শিদাবাদে ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনে বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে পড়ে। যাত্রীরা আতঙ্কিত এবং রেল স্টেশন যেন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলার শাসনব্যবস্থাকে উনি বিসর্জন দিয়েছেন যার মূল্য দিতে হচ্ছে বাংলার জনগণকে। রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা নেই, শুধু ভয়ের বাতাবরণ। আমরা কি এই পশ্চিমবঙ্গ চেয়েছিলাম? ঘটনার যাবতীয় দায় নিয়ে এখনই ওনার পদত্যাগ করা উচিত"!