Suvendu Adhikari: দোলের দিন গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। রেহাই পান নি হিন্দুরা, এমনই অভিযোগ বিজেপির। এবার এই বিষয়ে সরকারের বিবৃতির দাবিতে উত্তাল রাজ্য বিধানসভা। ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের।
ধর্মসংঘাতে ফের বেনজির বিক্ষোভের সাক্ষী থাকল রাজ্য বিধানসভা। দোলের দিন আবির খেলাকে কেন্দ্র করে সাঁইথিয়ায় দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনায় সরকার পক্ষের বিবৃতির দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। যদিও তা খারিজ করে দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, গত ১৩ বারের মত মুখ্যমন্ত্রী ও সরকার তাদের দায়বদ্ধতা মানতে রাজি নয়, একাধিক বিধায়ক সাসপেন্ড। আজকেও আমাদের বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সাঁইথিয়া কান্ডে সরকার পক্ষের বিবৃতির দাবি করেন। আমি হলে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানাতাম। তা এদিন খারিজ করে দেন অধ্যক্ষ। বিধানসভায় জবাব নয় তো কোথায় জবাব দেবেন? শুভেন্দু আরও বলেন, "এই সরকার তার দায়বদ্ধতা পালন করছে না। বিধানসভাকে প্রহসনে পরিণত করেছে। সে কারণেই বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে সমানে প্রতিবাদ দেখাতে বাধ্য হচ্ছে বিজেপি। স্পিকার এখানে এক চোখ বন্ধ করে থাকেন। ওনার ডান দিকটা খোলা, বাঁ দিকটা বন্ধ'।
শাসকের নেতৃত্বে রাজ্যের হিন্দুদের ওপর চলছে লাগাতার হামলার ঘটনা। অভিযোগ করে বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চান বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বীরভূমের সাইঁথিয়াতে কেন ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে, এ বিষয়ে সভায় সরকারের বিবৃতি দাবি করেন তিনি । যদিও তা খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়। শুভেন্দুর অভিযোগ, 'এদের কাছে কোনও উত্তর নেই। তাই বিজেপির প্রস্তাব নিয়ে বিধানসভায় কোনও আলোচনা হয় না।' পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে কেন লাইভস্ট্রিমিং নয় প্রশ্ন শুভেন্দুর। ভবিষ্যতে আরও বড় বিক্ষোভ চালিয়ে ডাক দেন বিরোধী দলনেতা। এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সম্পুর্ণ নিয়ন্ত্রণে।