Suvendu Adhikari Sandeshkhali: শেখ শাহজাহান গ্রেফতরের পরপরই সন্দেশখলিতে শুভেন্দু অধিকারী। দ্বীপাঞ্চলের মাটিতে দাঁড়িয়েই বড় ঘোষণা রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। আগামী ১০ মার্চ কলকাতার (Kolkata) ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে (Brigade Parade Ground) তৃণমূলের (TMC) প্রকাশ্য সভার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhisek Banerjee)। এবার ওই একই দিনে সন্দেশখালিতেও (Sandeshkhali) বিজেপি বড় সভা করবে বলে ঘোষণা করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
সন্দেশখালি ইস্যুতে সরগরম গোটা রাজ্য। দ্বীপাঞ্চলের 'ত্রাস' শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) পুলিশের জালে। আদালত তাকে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে। এদিকে, শেখ শাহজাহান গ্রেফতাারের দিনেই সন্দেশখালিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে দাঁড়িয়েই তৃণমূলকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
"অপেক্ষায় ছিলেন মানুষ। কবে আসবেন মোদিজির সৈনিকরা, তারই অপেক্ষায় ছিলেন এখানকার মানুষজন। অনেক লড়াই আমাদের করতে হয়েছে। সিঙ্গল বেঞ্চ, ডিভিশন বেঞ্চে ঘুরতে হয়েছে। আজ গোটা দ্বীপ আমার সঙ্গে। গোটা গ্রাম আমাদের সঙ্গে রয়েছে। ১০ হাজার লোক বেরিয়ে পড়েছে। ১০ তারিখে এখানে বড় সভা হচ্ছে। আমি উপস্থিত থাকব।"
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে প্রকাশ্য জনসভার ডাক দিয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার যার নাম দেওয়া হয়েছে, ‘জনগর্জন সভা’। ‘ইন্ডিয়া জোট’ নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেই সভার প্রধান বক্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোটের অন্য দলের নেতাদের সভায় আমন্ত্রণ জানাননি তৃণমূল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- Sandeshkhali Row: গারদে ‘বাঘ’ শাহজাহান, অকাল হোলি সন্দেশখালিতে, একে অপরকে মিষ্টিমুখ মহিলাদের
আরও পড়ুন- Sheikh Shahjahan Arrested: শাহজাহান জালে উঠতেই বড় আশঙ্কা ইডি-র! হাইকোর্টে কীসের আর্জি?
এবার তৃণমূলের সভার দিনেই সন্দেশখালির মাটিতে পাল্টা সভার ডাক শুভেন্দু অধিকারীরও। সব মিলিয়ে শেখ শাহজাহান গ্রেফতারের পরেও আলোচনার শীর্ষে এখনও উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। সামনেই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Polls 2024)। তার আগে সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে নাস্তানাবুদ করার সবরকম তোড়জোড় শুরু বিজেপির। পিছিয়ে নেই বামেরাও। আজ ন্যাজাটে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল সিপিএম (CPIM)। যদিও পুলিশি বাধায় বামেদের সভামঞ্চও খুলে নিতে হয়েছে।