তৃণমূল তো আছেই সঙ্গে বাম-কংগ্রেসও এবার বড় মাথাব্যথা বিজেপির কাছে, অন্তত রবিবাসরীয় দুপুরে শুভেন্দু অধিকারীর কথাতেই তা স্পষ্ট হয়েছে, এমনই মত রাজনৈতিক মহলের। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের প্রকাশ্য সভায় বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, 'ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না।'
একটা উপ-নির্বাচন বঙ্গ রাজনীতির অনেক হিসেব-নিকেশ উল্টে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে ছিল দ্বিতীয় স্থানে। সেই দলই তেইশের উপ-নির্বাচনে নেমে এসেছে তিনে। উল্টে বামেদের সমর্থন নিয়ে বাজিমাত করেছে কংগ্রেস। বঙ্গ রাজনীতিতে বিরোধী দলের পরিসরে বাম-কংগ্রেসের এই ঐক্যবদ্ধ উত্থান যেন মানতে পারছেন না শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন মহিষাদলের সভায় নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দল ছিল সিপিএম। ২০১৬ সাল থেকে বিরোধী আসনে ছিল কংগ্রেস। কখনও কোনও কিছু প্রতিবাদ করেছে? চোর ধরা পড়েছে? ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না।'
আরও পড়ুন- ‘ন্যাড়া’ আগেই হয়েছেন, তৃণমূলকে ‘ল্যাজেগোবরে’ করতে আজ থেকেই নয়া ময়দানে কৌস্তভ
সিপিএম-কংগ্রেসকে একাসনে বসিয়ে বিঁধে শুভেন্দু এদিন আরও বলেন, 'সিপিএম ও কংগ্রেস কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর তৃণমূল বগটুইয়ে মুলসমান পুড়িয়েছে। তাই বিজেপি ছাড়া গতি নেই।'
একুশের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের স্লোগান ছিল 'নো ভোট টু বিজেপি'। যদিও বাম-কংগ্রেসের মুখ পুড়িয়ে ঢের বেশি আসন পেয়ে বিজেপিই সেবার বিরোধী দলের তকমা ছিনিয়ে নিয়েছিল। পরে ভবানীপুরের উপ-নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থন করে প্রার্থী দেয়নি কংগ্রেস। যা নিয়েও এদিন শুভেন্দুর রোষের মুখে পড়তে হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুীরকে।
আরও পড়ুন- দস্যু রত্নাকরের বাল্মিকী হয়ে ওঠার গল্প, চোয়াল শক্ত রেখে বাঁচার লড়াই বাহাত্তরের ‘তরুণের’
এপ্রসঙ্গে কৌস্তভ গ্রেফতারি ইস্যু ঢাল করে অধীরকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, 'ভবানীপুরের উপ নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জিকে সমর্থন করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। প্রার্থীই দিলেন না। নে ঠ্যালা! ওই জন্যই তো ধরে ঢোকাচ্ছে।'