আশান্ত হাওড়া সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ধুলাগড়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁটবৃষ্টি, পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে। একই অবস্থা উলুবেড়িয়া, পাঁচলা, বজবজ, মেটিব্রেুজেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবার রাজ্যের এইসব এলাকায় সেনা নামানোর দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
Advertisment
এ দিন হুগলিতে মানকুণ্ডু রেল ওভারব্রিজের উদ্বোধন সেরে ফেরার পথে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আমি সিপিএমের সবকিছুর নিন্দা করব, কিন্তু বলতে দ্বিধা নেই যে রিজওয়ানুরকাণ্ডের দিন পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হতেই তৎকালীন মুখ্যসচিব ফোর্টউইলিয়াম থেকে সেনা নামিয়েছিলেন। এখনও নিমদিঘি থেকে পাঁচলা পর্যন্ত অসংখ্য গাড়ি আটকে রয়েছে। সেগুলিতে সব সম্প্রদায়ের মানুষ আছেন। অসংখ্য গাড়ি ভাঙা হচ্ছে। গোটা রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। সকাল থেকে এসবের ভিডিও আমি রাজ্যপাল মহোদয়কে পাঠিয়ে যাচ্ছি। আমি মানুষের জীবন সম্পত্তি রক্ষার জন্য সেনা নামানোর আবেদন করছি।'
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, 'তৃণমূলের উসকানিতেই একশ্রেণির মানুষ এই তাণ্ডব চালাচ্ছে। এদের প্রদান লক্ষ্য ভারতীয় জনতা পার্টি।। মুখ্যমন্ত্রীর পদে আর এক মিনিটও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বসে থাকা উচিত নয়।'
এ দিন উলুবেড়িয়ায় বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন ধরানো হয়েছে। একাধিক পুলিশের গাড়ি, কিয়স্কে ভাঙচুর চালানো হয়। যা ক্রমশ ভয়াবহ রূপ ধারণের দিকে এগোচ্ছে বলে শঙ্কা।