Suvendu Adhikari Donates 10 lacs Ranaghat Ashmika Das: স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি (SMA) টাইপ ওয়ান বিরল রোগে আক্রান্ত রানাঘাটের ছোট্ট অশ্মিকা। সুস্থ করতে লাগবে ১৬ কোটির ইনজেকশন। যাকে ঘিরে ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। এবার অশ্মিকার চিকিৎসায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরিবারের হাতে তুলে দেন ১০ লক্ষের চেক। যা পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত অশ্মিকার মা-বাবা।
অশ্মিকাকে সুস্থ করে তুলতে আসরে নেমেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার একটা বড় অংশের মানুষ। এবার বিধায়ক হিসেবে পাওয়া বেতন থেকে ১০ লক্ষ টাকা অশ্মিকার চিকিৎসার জন্য বাবা শুভঙ্কর দাসের হাতে তুলে দেন শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিরোধী দলনেতা বলেন, "আমি সকলের কাছে আবেদন করছি সকলে ছোট্ট অশ্মিকার জন্য এগিয়ে আসুন। আমাদের সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় ছোট্ট ফুটফুটে অশ্মিকার ভবিষ্যত নিশ্চিতভাবেই আরও সুন্দর হয়ে উঠবে"।
দিন কয়েক আগেই অশ্মিকার মা-বাবার হাতে চিকিৎসা খবচ বাবদ একটি চেক তুলে দিয়ে নিজের ফেসবুক লাইভ থেকে একরত্তির সাহায্যে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন শাসক বিধায়ক মদন মিত্র।
অশ্মিকা সুস্থ করে তুলতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন 'প্রবাসে ঘরকন্না'র মহুয়া গঙ্গোপাধ্যায়। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় গায়ক কৈলাস খের। তালিকায় বাদ নেই কিংবদন্তী গায়িকা শুভমিতাও। দিনকয়েক আগেই অশ্মিকার বাবা-মা দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও। মেয়ের চিকিৎসা বাবদ সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন। এত প্রচেষ্টা, লাখো মানুষের প্রার্থনা যেন বিফলে না যায়, সুস্থ হয়ে স্বাভবিক জীবনে ফিরতে পারে ছোট্ট অস্মিকা সেটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বাংলার মানুষের।
বাবা শুভঙ্কর দাস জানান, "মেয়ে যখন হয় তখন এত খুশি হই যে তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। তবে সেই সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। মুহূর্তেই সব কিছু বদলে যায়, চোখের সামনে একরত্তি মেয়েটা এত কষ্ট পাচ্ছে আমি নিরুপায়। মানুষ নিজে থেকে এগিয়ে আসছেন। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সকলেই। একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্প এগিয়ে এসেছেন, ওর চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদনও জানিয়েছেন। আপাতত ক্রাউড ফান্ডিং ছাড়া আমাদের কাছে কোন বিকল্প নেই। সকলের কাছে একটাই অনুরোধ যতটুকু পারবেন মেয়ের চিকিৎসা বাবদ সাহায্য করবেন। আপনার ছোট্ট সাহায্য'ই আমার মেয়েকে সুস্থ জীবন দিতে পারে"।
'তিন মাস বয়স পর্যন্ত বাকি বাচ্চাদের মতোই সবকিছুই স্বাভাবিক চলছিল। পা তুলত, হাত নাড়াত। সাড়ে তিন মাস বয়স যখন হল, তখনই হঠাৎ একদিন দেখলাম পা-টা আর তুলছে না। তিন-চার মাসের বাচ্চাদের ঘাড় শক্ত হয়ে যায় সাধারণত। উবুড় হয়ে যায়। কিন্তু ও কিছুই করতে পারছিল না'। এমনটাই জানিয়েছেন অস্মিকার মা লক্ষ্মী সরকার দাস।