Suvendu Adhikari on Mamta Government: নারী সুরক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের আনা অপরাজিতা বিল ২০২৪ নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম। মহিলাদের সুরক্ষার লক্ষ্যে রাজ্যের আনা এই বিলের প্রতি সমর্থন জানালেও শাসকদল তৃণমূলের ভূমিকার কড়া সমালোচনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দ্রুত এই বিল কার্যকরের দাবি তুললেও তাড়াহুড়ো করে এই বিল পেশের পিছনে অন্য উদ্দেশ্য থাকারও আশঙ্কা শোনা গিয়েছে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের মুখে।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নারকীয় ঘটনা নাড়া দিয়ে গিয়েছে গোটা দেশকে। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের এমন নৃশংস খুনের প্রতিবাদে এখনও উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যের কোনায় কোনায়। দোষীদের শাস্তির দাবিতে ফি দিন চলছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। মহিলাদের উপর এমন পাশবিক নির্যাতন বন্ধে এবার জোরদার তৎপরতা রাজ্য সরকারেরও। মঙ্গলবার বিধানসভায় ধর্ষণ-বিরোধী অপরাজিতা বিল ২০২৪ পেশ করেছে রাজ্য। সেই বিল পেশের সময়েই শাসক তৃণমূলের সঙ্গে তুমুল বাগবিতণ্ডা বেধে যায় বিরোধী পক্ষের। বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী এই বিলের প্রতি সমর্থন জানালেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি তুলতে থাকেন বিধানসভায়।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিধানসভায় বলেন, "রাজ্য সরকারের আনা এই বিলকে আমরা সমর্থন করছি। কিন্তু এই বিল আনতে এত তাড়াহুড়ো করা হল কেন? আমরা চাইলে বলতেই পারতাম যে সিলেক্ট কমিটিতে আগে পাঠান। সেই কারণেই ভোটাভুটি চাইব না। এই বিল দ্রুত কার্যকর করতে হবে সরকারকে।" তবে এই বিলে সমর্থন করলেও এক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবও রেখেছেন।
অপরাজিতা বিল ২০২৪-এ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আনা প্রস্তাবগুলি হল...
১. থানা FIR নিতে অস্বীকার করলে বা দেরি করলে তার সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান থাকতে হবে বিলে।
২. তথ্যপ্রমাণ লোপাট করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তির বিধান রাখা হোক।
৩. ময়নাতদন্তের ক্ষেত্রে অযথা দেরি করলে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধেও শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক বা স্বাস্থ্য পরীক্ষাকারী চিকিৎসক পরে বয়ান বদলালে শাস্তির বিধান রাখতে হবে।
৫. সাক্ষ্যদান পর্ব চলাকালীন নিরাপত্তা দিতে হবে।
৬. এক মাসের মধ্যে বিচার শেষ করে দ্রুত শাস্তি কার্যকর করতে হবে।
উল্লেখ্য, এদিন বিধানসভায় অপরাজিতা বিল ২০২৪ পেশ করে, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির প্রবল সমালোচনা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।বিজেপি শাসিত রাজ্য সহ অন্যান্য রাজ্যে নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে এরাজ্যের বিরোধী দলনেতারও পদত্যাগ দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।